(বাঁ দিকে) ঈশন কিশন এবং হার্দিক পাণ্ড্য (ডান দিকে)। ছবি: এক্স (টুইটার)।
গত মরসুম পর্যন্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন ঈশান কিশন। এ বার নিলামে তাঁকে কেনেননি মুম্বই কর্তৃপক্ষ। তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আগামী আইপিএল খেলবেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। মুম্বই ঈশানকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা না করায় মুখ খুললেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য।
সৌদি আরবের জেড্ডায় গত ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর আইপিএলের পূর্ণ নিলাম হয়েছে। সেই নিলামে ঈশানকে কেনেনি মুম্বই। তাঁকে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কিনেছে হায়দরাবাদ। সেই নিলামের এক সপ্তাহ পর ঈশানকে মুম্বইয়ের না কেনা নিয়ে মুখ খুললেন হার্দিক। মুম্বই অধিনায়ক বলেছেন, তিনি নাকি আগেই জানতেন মুম্বই ঈশানকে ফেরানোর চেষ্টা করবে না। হার্দিক বলেছেন, ‘‘সাজঘরে ঈশান থাকলে একটা তরতাজা এবং চনমনে আবহ থাকে। ঈশানকে ছেড়ে দেওয়ার পরই বুঝে গিয়েছিলাম নিলাম থেকে ওকে কেনা বেশ কঠিন হবে। কারণটা খুবই সহজ। ঈশান আগেই নিজের ক্রিকেটীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। যথেষ্ট উপযোগী ক্রিকেটার। ঈশান সব সময় সাজঘরকে আলোকিত করে রাখে। সকলকে হাসিখুশি রাখে।’’
ঈশানকে নিয়ে হার্দিক আরও বলেছেন, ‘‘ঈশানের প্রতি একটা স্বাভাবিক ভালবাসা এবং উষ্ণতা ছিল সকলের। ঈশানও সব সময় মজা করত। আমাদের দলের প্রতি ভীষণ আন্তরিকও ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ওর অভাব অনুভব করব। ঈশান সব সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ‘পকেট ডায়নামো’ হয়ে থাকবে।’’ হার্দিক জানতেন নিলামে উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে পাওয়ার জন্য একাধিক দল ঝাঁপাবে। টাকার লড়াই হবে দলগুলির মধ্যে। সেই লড়াইয়েই এঁটে উঠতে পারবেন না মুম্বই কর্তৃপক্ষ। কারণ নিলামের আগে মুম্বই কর্তৃপক্ষের হাতে ছিল ৪৫ কোটি টাকা।
ঈশানের সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। গত মরশুমে ক্রিকেট থেকে নিজেকে কয়েক মাস দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন ঈশান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিলেন না। মাঠে ফেরার আগে ঈশান মাস খানেক ছিলেন বরোদায়। হার্দিকের সঙ্গে অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেন। মূলত আইপিএলকে সামনে রেখেই মাঠে ফিরেছিলেন ঈশান। আবার গত মরসুমেই হার্দিককে গুজরাতের কাছ থেকে সরাসরি কিনে অধিনায়ক করেছিল মুম্বই। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব।