অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র।
দিন-রাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত দেশের মাটিতে অপরাজিত। অ্যাডিলেডেই তারা খেলেছে সাতটি দিন-রাতের টেস্ট। সবগুলিতেই জয় পেয়েছে তারা। পার্থে ভারতের কাছে প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টের আগে এই রেকর্ডই অন্যতম বড় ভরসা অস্ট্রেলিয়া শিবিরের। গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল প্যাট কামিন্স, ট্র্যাভিস হেডরা।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিন যশপ্রীত বুমরাদের চাপে ফেলেও ম্যাচ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বরং সাড়ে তিন দিনে ২৯৫ রানে হেরে গিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সেরা। পার্থের ২২ গজে এমন বিপর্যয়ের পরও আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশে ফিরবেন রোহিত শর্মা, শুভমন গিলের মতো ব্যাটারেরা। নিঃসন্দেহে শক্তি বাড়িয়ে অ্যাডিলেডে নামবে ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার ‘ভরসা’ দিন-রাতের টেস্ট।
বেশ কিছু দিন চেনা ফর্মে নেই স্টিভ স্মিথ। নিজের পছন্দের চার নম্বর জায়গায় নেমেও রান পাননি পার্থে। সিরিজ়ের দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্মিথ বলেছেন, ‘‘গোলাপি বল। দিন-রাতের খেলা। অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। দিনের কোন সময় ব্যাট করব, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। অন্য রকম মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে। গোলাপি বল কেমন আচরণ করবে, অনেক সময় বোঝা যায় না। তাই বলের উপর থেকে নজর সরালে হবে না।’’
অ্যাডিলেডের লড়াই যে আলাদা, তা অজানা নয় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্সেরও। তিনিও কিছুটা সতর্ক। কামিন্স বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের প্রাথমিক ব্যাপারগুলোয় ঠিক থাকতে হবে। গোলাপি বলে অনেক সময় অন্য রকম খেলা হয়। বল পুরনো হলেও সব সময় নরম হয় না। অনেক সময় শক্ত থাকে। তাই এই ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারে।’’
গোলাপি বলের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ভরসা হতে পারেন হেড। দিন-রাতের টেস্টে তিনি প্রায় সব সময়ই সাফল্য পেয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে হেডও খানিকটা সতর্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘অ্যাডিলেডের পিচ অন্য জায়গায় তৈরি করে মাঠে বসানো হয়। এই ধরনের পিচে ব্যাট করা কঠিন। সাধারণ পিচের মতো করে খেলা যায় না। আশা করি সমস্যা হবে না। অ্যাডিলেডে বহু ইনিংস খেলেছি। রানও পেয়েছি। আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলার চেষ্টা করব।’’ ফর্মে যশপ্রীত বুমরাকে সামলাতে হবে এ বার। এটা কি চাপের? হেড বলেছেন, ‘‘জানি কেমন ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হতে পারে। আমি আত্মবিশ্বাসী। মানসিক ভাবে তাজা থাকার চেষ্টা করছি। প্রস্তুতিও ঠিকঠাক হচ্ছে। বুমরার বিরুদ্ধে অনেকগুলো ইনিংস খেলেছি। তাই জানি ও কেমন বল করে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামব।’’
প্রথম টেস্টে নিজেদের কিছু ভুল চিহ্নিত করেছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। সেই ভুলগুলি যাতে আবার না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন কামিন্সেরা। দ্বিতীয় টেস্টের আগে হাতে যে ক’দিন সময় আছে, তা কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা।