Tibet Earthquake 2025

লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, হাহাকারের ছবি সর্বত্র! তীব্র ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড ‘পৃথিবীর ছাদ’

মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত। প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৪
Share:
০১ ১৬

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তিব্বতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। তীব্র ভূকম্পনের জেরে এখনও পর্যন্ত চিন অধিকৃত ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে মৃত্যু হয়েছে ১২৬ জনের। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৮৮ জনকে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালের ভূমিকম্পে ছ’হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।

০২ ১৬

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত। প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তিব্বতের শিগাতসের এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ।

Advertisement
০৩ ১৬

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিব্বতের তিংরি প্রদেশ। ওই প্রদেশের জিগাজ়ে শহর লাগোয়া জ়োগো এলাকার ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।

০৪ ১৬

তবে ভূমিকম্পের তীব্রতা নিয়ে চিন এবং আমেরিকা থেকে পরস্পরবিরোধী ‘তথ্য’ মিলেছে। ‘চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার’-এর মতে, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮। অন্য দিকে, আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএসের দাবি, অন্তত ৭.১ রিখটার মাত্রার ভূকম্পনের কবলে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম তিব্বত।

০৫ ১৬

জিগাজ়েতে রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মগুরু পাঞ্চেন লামার মঠ। দলাই লামার পরেই তাঁর অবস্থান। নেপালের খুম্বু এলাকার লোবুৎসে থেকে জিগাজ়ের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। সিকিম-নেপাল-তিব্বতের ‘ট্রাই জংশন’-এর অদূরে এই শহরের অবস্থান।

০৬ ১৬

ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটিতে বহু বার ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে আফটারশকের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪.৪। জ়োগো জনপদের বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। ডিরিং কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার। তাঁদের বড় অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে।

০৭ ১৬

ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন সরকারি আধিকারিকেরা। এখনও বেশ কিছু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা।

০৮ ১৬

ভূমিকম্পের পর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের বেশ কিছু এলাকা। ধ্বংসলীলার বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

০৯ ১৬

সেই সব ছবিতে দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে তিব্বতের ওই অঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি, দোকান। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের কাছাকাছি অঞ্চলে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

১০ ১৬

ভূমিকম্পবিধ্বস্ত এলাকায় এখন শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল। হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে অনেক মানুষের। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ সরবরাহ করার কাজে লেগেছেন উদ্ধারকর্মীরা। পর্যাপ্ত খাবার এবং জল ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো অনেক মানুষ।

১১ ১৬

উদ্ধারকার্যের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। সেই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন তাঁরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না সেই খোঁজও চলছে।

১২ ১৬

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছে ঘড়বাড়ি হারানো মানুষের অসহায়তার ছবিও। পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডায় উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তবুও হাল ছাড়তে রাজি নন উদ্ধারকারীরা। চিনের শি জিনপিং সরকার আরও জোরালো ভাবে উদ্ধারকাজ চালানোর ডাক দিয়েছে।

১৩ ১৬

তিব্বতে ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা।

১৪ ১৬

প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কারও মৃ্ত্যুর বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়।

১৫ ১৬

কিন্তু কেন এই ভূমিকম্প? বিশেষজ্ঞদের মতে, লাসা ব্লকের একটি ফাটলের কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। লাসা ব্লক টেকটোনিক স্ট্রেসের অধীনে থাকা একটি এলাকা। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশি থাকে।

১৬ ১৬

এলাকাটিকে ভূমিকম্পের ‘হটস্পট’ হিসাবেও দেখা হয়। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের সাক্ষী থেকেছেন তিব্বতবাসী। এর মধ্যে ১৯৫০ সালে ৮.৬ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প অন্যতম।

ছবি: রয়টার্স এবং পিটিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement