রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদবেরা রান পাচ্ছেন। শুভমন গিল বড় রান না পেলেও তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় ভারতীয় শিবির। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে রান পাচ্ছেন না শ্রেয়স আয়ার। বিশ্বকাপের নটআউট পর্বের আগে শ্রেয়সকে নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের এক সদস্য।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল গৌতম গম্ভীরের। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার উদ্বিগ্ন শ্রেয়সকে নিয়ে। বিশেষ করে খাটো লংথের বলের সামনে দুর্বলতা ঢাকতে পারছেন না শ্রেয়স। পরিস্থিতি দেখে রবিবার ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের নিজে এগিয়ে এসে শ্রেয়সকে পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর।
বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন গম্ভীর। রবিবার তিনি মাঠেই ছিলেন। শ্রেয়সকে দেখে নিজেই এগিয়ে যান গম্ভীর। বুঝিয়ে দেন তাঁর কোথায় ভুল হচ্ছে। পরে তিনি বলেন, ‘‘নেটে কোনও শট অনুশীলন করার অর্থ এই নয় যে, মাঠে নেমে সেই শট খেলতেই হবে। শ্রেয়স যেন বাধ্য হয়েই খেলছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে একটি দ্বিধায় থাকছে। শুধু খাটো লেংথের বলের জন্য অপেক্ষা করছে। তার দরকার নেই। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে পুল করার চেষ্টা করতে পারে শ্রেয়স। যে ভাবে শটটা খেললে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে, সে ভাবেই খেলুক। বল বেশি উচ্চতায় মারার চেষ্টা করার দরকার নেই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দেখলাম সব বলে পুল করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভাল বোলারদের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পনা ঠিক নয়।’’
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছেন শ্রেয়স। ছ’টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩৪ রান। অথচ রান পেয়েও সাজঘরে বসে থাকতে হচ্ছে ঈশান কিশনকে। গম্ভীর অবশ্য তার নম্বরে শ্রেয়সকেই দেখতে চান। তাঁর আশা মুম্বইয়ের ব্যাটার দ্রুত চেনা ফর্মে ফিরবেন। গম্ভীর বলেছেন, ‘‘সেই বলই পুল করার চেষ্টা করা উচিত, যার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। মনে হচ্ছে ও একটা নির্দিষ্ট ভাবনার মধ্যে আটকে রয়েছে। শ্রেয়স হয়তো মনে করছে, সবাই ওকে শর্ট বল করবে। সে ভাবেই খেলতে চাইছে। ব্যাটিং নিয়ে হীনমন্যতার কোনও জায়গা নেই। এক জন সব রকম বলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হতে পারে না। দুর্বলতা ঢাকার জন্য অনুশীলন করা যেতেই পারে। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া উচিত নিজের শক্তির জায়গায়।’’
গম্ভীরের মতে, শ্রেয়সের সমস্যা টেকনিকের নয়। মানসিকতার। সেটা খুব গুরুতরও নয়। তাই একটা ম্যাচে রান পেলেই চেনা ফর্মে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ককে। উল্লেখ্য, গম্ভীর নিজেও কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক। সেই হিসাবে নিজের উত্তরসূরীকে কিছুটা উপযাচক হয়েই পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর।