এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দুর্নীতি মামলায় তাঁর যোগসূত্র ধরে সিবিআই আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন শনিবার। ঠিক পরের দিনই, রবিবার ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ডাকঘর কর্মী। মৃতের ট্রাউজার্সের পকেটে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তাতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে পুরো ঘটনার জন্য এক মহিলা সহকর্মীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করে গিয়েছেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম রাহুল কুমার। শনিবার ২৮ বছরের ওই দলিত যুবকের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। রবিবার সকালে বাড়ির কিছু দূরে গিরিধারীনগর এলাকায় ট্রেনলাইন থেকে যুবকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে জিআরপি।
জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের ওই যুবক চাকরি পেয়েছিলেন কিছু দিন। সাব-পোস্টমাস্টার পদে কাজ করতেন। সম্প্রতি একটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাঁর। গত ২৬ নভেম্বর ‘কাজে অবহেলা’র অভিযোগে সাসপেন্ড হন। তার পর থেকে নিজেকে একপ্রকার বন্দি করে ফেলেছিলেন বাড়িতে। শনিবার দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দলটি চলে যায়। তার পরের দিনই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের ট্রাউজার্সের পকেট থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, সেটি সুইসাইড নোট। চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘নিচু জাত’ বলে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন তিনি। নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেছেন দলিত যুবকটি। মিরাট (শহর)-এর পুলিশ সুপার শঙ্কর প্রসাদ জানান, চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে এক মহিলা সহকর্মীর কথা। অফিসে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার কারণে নানা ভাবে তিনি হেনস্থার শিকার হন বলে দাবি করে গিয়েছেন যুবক। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঘটনাক্রম দেখে আত্মহত্যাই মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিয়েছি আমরা। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’