(বাঁদিকে) যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি। ছবি: আইসিসি।
আট-নয়ের দশকে তাঁর বল সমীহ করতেন না, ক্রিকেটবিশ্বে এমন ব্যাটার বিরল। সেই ওয়াসিম আক্রমই মুগ্ধ ভারতের এক জোরে বোলারকে দেখে। যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি— ভারতের দুই জোরে বোলারই দলকে জেতাচ্ছেন। আক্রম তাঁদের থেকেই এক জনকে বেছে নিয়েছেন।
রবিবারের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শামি। তবে তাঁকে নয়, বুমরাকে এখনকার বিশ্বসেরা বোলারের তকমা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকেই ভাল ফর্মে রয়েছেন বুমরা। বিশ্বকাপেও প্রায় প্রতি ম্যাচে উইকেট পাচ্ছেন। রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬.৫ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর দাপটে ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরুতেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। আবার তাঁর দুরন্ত ইয়র্কারেই শেষ হয় জস বাটলারদের ইনিংস। বুমরার বোলিং দেখে আক্রম বলেছেন, ‘‘এখন বুমরাই বিশ্বের সেরা বোলার। কোনও সন্দেহ নেই। বলের উপর নিয়ন্ত্রণ, গতি, বৈচিত্র্য সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ জোরে বোলার বুমরা। ওর বোলিং দেখা দারুণ উপভোগ্য।’’ আক্রম আরও বলেছেন, ‘‘নতুন বলে বুমরা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই ধরনের পিচেও বল সুইং করাচ্ছে। ভাল গতি বজায় রাখছে। বল তুলছেও ভাল উচ্চতায়। এর থেকেই বোঝা যায় বুমরার মান। কতটা পরিপূর্ণ বোলার ও।’’
ভারতীয় জোরে বোলারের প্রতিটি বল ভাল করে পর্যবেক্ষণ করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। বুমরার বোলিংয়ে পরিকল্পনার ছাপ দেখে উচ্ছ্বসিত আক্রম। তিনি বলেছেন, ‘‘বাঁহাতিদের রাউন্ড দ্য উইকেট বল করার সময়, পিচে সেলাইয়ের অংশটা ফেলার চেষ্টা করে। ক্রিজের একটু বাইরে থেকেও বলটা করছে। ব্যাটার দেখে মনে করতেই পারে, বল ভিতরের দিকে আসবে। কিন্তু বল উইকেটে পড়ার পর ভিতরের দিকে না গিয়ে বাইরের দিকে যাচ্ছে। এটাই দ্বন্দ্বে ফেলে দিচ্ছে ব্যাটারদের। আমিও অনেক সময় ডানহাতি ব্যাটারদের এ ভাবে আউট সুইং বল করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু কোনও কোনও সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারতাম না। বুমরার কিন্তু নিয়ন্ত্রণের কোনও সমস্যা নেই। মেনে নিতে হবে, বলের উপর নিয়ন্ত্রণ আমার থেকে বুমরার অনেক ভাল।’’
আক্রমের বুমরা বলের লেংথও তাঁর সাফল্যের অন্যতম কারণ। তিনি বলেছেন, ‘‘বুমরা এমন একটা লেংথে বলটা রাখে, যেটা ব্যাটারের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। ওকে থামানোর একটাই উপায়। সেটা হল পাল্টা চাপ তৈরি করা।’’ এর পর মজা করে বলেছেন, ‘‘ওর বোলিং স্পাইকগুলো চুরি করে নিতে হবে।’’ শাহিন আফ্রিদির থেকে বুমরার এগিয়ে থাকার কারণ হিসাবে আক্রম বলেছেন, ‘‘বুমরা অনেকটা এগিয়ে আমাদের বোলারদের থেকে। কারণ ও অনেক বেশি টেস্ট খেলেছে। আমাদের বোলারেরা অত টেস্ট খেলেনি।’’