১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অ্যালান ডোনাল্ডের রান আউট হওয়ার মুহূর্ত। —ফাইল চিত্র।
জিততে দরকার ছিল ১ রান। কিন্তু অ্যালান ডোনাল্ডের ভুলে তা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ডোনাল্ড রান আউট হওয়ায় ম্যাচ টাই হয়ে যায়। সুপার সিক্সের তালিকায় উপরে থাকায় ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বছর পরেও সেই দিনটি ভুলতে পারেননি ডোনাল্ড। এখনও তিনি দেখতে পান একটি বাচ্চা মেয়ের কান্না। ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে হয়েছিল তাঁকে।
একটি সাক্ষাৎকারে সেই ফাইনালের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, “ছোট্ট একটা মেয়ের মুখ আমি এখনও ভুলতে পারিনি। মাথায় হাত দিয়ে সে হাউ হাউ করে কাঁদছিল। আমি এখনও সেই কান্না দেখতে পাই। সে দিন ম্যাচের পরে আমাকে দু’জন টানতে টানতে সাজঘরে নিয়ে গিয়েছিল। আমার পা চলছিল না। আমি শুধু ভাবছিলাম, ছোট্ট মেয়েটাকে আমি হতাশ করেছি। এখনও সে দিনের কথা ভাবলে মেয়েটার মুখ দেখতে পাই।”
সে দিনের ফাইনালকে সিনেমার মতো মনে হয় ডোনাল্ডের। এত কাছে গিয়ে হারের ধাক্কা আরও বেশি পেয়েছিলেন তিনি। ডোনাল্ড বলেন, “ম্যাচ টাই হয়েছিল বলে আরও দুঃখ হয়। পুরো ম্যাচ জুড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটেছিল। যেন খেলা নয়, সিনেমা হয়েছিল। সেই সিনেমায় একটা বড় চরিত্র আমার ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, চরিত্রটা শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিল। আমরা সে বার খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছিলাম। বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার ছিলাম। কিন্তু আমার ভুলে দল হেরেছিল।”
হারের ধাক্কা কাটাকে মনোবিদের কাছে যেতে হয়েছিল তাঁকে। খেতে হয়েছিল ওষুধ। ডোনাল্ড বলেন, “হারের ধাক্কা অনেক দিন আমার মনে ছিল। কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শেষে মনোবিদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্মৃতি এখনও আমার মনে টাটকা।”
১৯৯৯ সালের পর থেকে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বছর অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেখানেও ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ থেকে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা।