উইকেট নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের মাটিতে বাবর আজ়মদের চুনকাম করলেন বেন স্টোকসরা। টেস্ট সিরিজ়ে ইংল্যান্ড জিতল ৩-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে সব টেস্ট হেরে গেল পাকিস্তান। দাপটের সঙ্গে জয় স্টোকসদের।
১৭ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট হয়েছিল রাওয়ালপিণ্ডিতে। যে পিচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আইসিসি পয়েন্টও কেটে নেয়। যদিও সেই খারাপ পিচ ইংল্যান্ডের কোনও অসুবিধা করতে পারেনি। সহজেই টেস্ট জিতে নিয়েছিলেন স্টোকসরা। মুলতানেও ফল পাল্টায়নি। প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরছিল সেই পিচে। হ্যারি ব্রুকরা সেই পিচেও রান করলেন। ম্যাচ জিতলেন।
বাকি ছিল শুধু করাচি। সিরিজ় জিতে যে মাঠে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ব্রুক শতরান করেন সেখানেও। তিনটি ম্যাচেই শতরান করেন ব্রুক। পাকিস্তানের বোলারদের নাস্তানাবুদ করেন বার বার। ম্যাচের সেরা এবং সিরিজ় সেরার পুরস্কার ব্রুকের দখলে। তৃতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ৩০৪ রান। উত্তরে ইংল্যান্ড করে ৩৫৪ রান। মাত্র ৫০ রানে লিড ছিল তাদের। কিন্তু সেই সুবিধা নিতে পারলেন না বাবররা। তাঁরা মাত্র ২১৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৭ রান। দু’উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেন স্টোকসরা।
করাচিতে ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয় রেহান আহমেদের। ১৮ বছরের স্পিনার প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নেয়। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন রেহান। ইংল্যান্ডের তরুণ প্রজন্ম তৈরি হওয়ার বার্তা দিল এই সিরিজ়। জো রুটরা রান না পেলেও ব্রুকরা রান করে গেলেন। রান পেলেন বেন ফোকসও। বল হাতে উইকেট নিচ্ছেন রেহানরা।
পাকিস্তান দল যদিও ঘরের মাঠে এই লজ্জায় পড়বে তা ভাবেনি অনেকেই। বাবর নিজে বিরক্ত ছিলেন ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকা পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। দ্রুত নিজেদের ভুল শুধরে টেস্ট ক্রিকেটে ভাল ফল করতে চাইবে পাকিস্তান।