সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র।
ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়ালেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর মতে, রঞ্জি ট্রফি খেললে জাতীয় দলের ক্রিকেটারেরা উপকৃত হবেন। ভুল শুধরে নেওয়া বা খামতির জায়গাগুলিতে উন্নতি করার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা প্রয়োজন।
গত মাসে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বিসিসিআই জানিয়েছে, জাতীয় দলের খেলা বা চোট না থাকলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে। কোনও কারণ দেখিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। ক্রিকেটারদের উপর নজর রাখবে বোর্ড। মৌখিক ভাবে জানানোর পর বোর্ড সচিব জয় শাহ চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের চিঠি দিয়েও জানিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্তের কথা।
সচিন বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমাজমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা রঞ্জি খেললে তরুণদের খেলার মান বৃদ্ধি পায়। তাতে অনেক সময় নতুন প্রতিভাদের চিহ্নিত করা যায়। পাশাপাশি, উপকৃত হয় জাতীয় ক্রিকেটারেরাও। ক্রিকেটের মৌলিক বিষয়গুলো আরও ভাল করে রপ্ত করতে পারে তারা।’’ নিজের উদাহরণ দিয়ে সচিন আরও বলেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেটজীবনে যখনই সুযোগ পেয়েছি উৎসাহ নিয়ে মুম্বইয়ের হয়ে মাঠে নেমেছি। একটা সময় মুম্বইয়ের সাজঘরে সাত-আট জন ক্রিকেটার ছিল ভারতীয় দলের। আমরা সবাই খুব উপভোগ করতাম।’’
সচিন বলেছেন, ‘‘সেরা ক্রিকেটারেরা রাজ্য দলের হয়ে খেললে ক্রিকেটপ্রেমীরা উৎসাহিত হন ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। দলগুলি সমর্থন পায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ঘরোয়া ক্রিকেটকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। এটা ইতিবাচক।’’ ঘরোয়া ক্রিকেটের উত্তেজনার উদাহরণ হিসাবে রঞ্জি ট্রফির দু’টি সেমিফাইনালের উল্লেখ করেছেন সচিন। তিনি বলেছেন, ‘‘মুম্বই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। আবার মধ্যপ্রদেশ এবং বিদর্ভের লড়াইও জমে উঠেছিল। শেষ দিন মধ্যপ্রদেশের দরকার ছিল ৯০ রান আর বিদর্ভের ৪ উইকেট। এর থেকেই বোঝা যায় ঘরোয়া ক্রিকেটের লড়াই কতটা টান টান হয়।’’
ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার শাস্তি এর মধ্যেই পেয়েছেন শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশন। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যদিও সকলে সহমত নন। ঋদ্ধিমান সাহা যেমন জানিয়েছেন, কাউকে খেলতে বাধ্য করতে পারে না বোর্ড। যদিও বাংলার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জানিয়েছেন, তিনি যখনই সুযোগ পেয়েছেন খেলেছেন। ক্লাব বা অফিসের হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগও হাত ছাড়া করতেন না।