রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
যে অস্ত্রে তারা ইংল্যান্ডকে ঘায়েল করতে চেয়েছিল সেই অস্ত্রে নিজেরাই সমস্যায় রোহিত শর্মারা। রাঁচীতে দ্বিতীয় দিনই চাপে ভারত। ইংল্যান্ডের থেকে ১৩৪ রান পিছিয়ে তারা। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছে পিচের অসমান বাউন্স। পিচ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে ভারতই। এই পরিস্থিতিতে অজুহাত দিচ্ছেন দলের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে।
প্রথম দিন ইংল্যান্ডের ইনিংসেও কয়েকটি বল নিচু হয়েছে। আবার কোনও বল অতিরিক্ত লাফিয়েছে। খেসারত দিতে হয়েছে বেন স্টোকসকে। দ্বিতীয় দিন পিচের অসমান চরিত্র আরও বেড়েছে। যশস্বী জয়সওয়াল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে বলে আউট হয়েছেন সেগুলি নিচু হয়েছে। আবার রবীন্দ্র জাডেজার ক্ষেত্রে বল বেশি লাফিয়েছে।
দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মামব্রে জানিয়েছেন, পিচের বাউন্স অসমান হবে তাঁরা ভেবেছিলেন। কিন্তু এতটা হবে ধরতে পারেননি। মামব্রে বলেন, “এই মাঠের পিচ সাধারণত মন্থর থাকে। খেলা যত গড়ায় তত মন্থর হয় পিচ। সেই সঙ্গে কিছু বল নিচু হয়। আগেও হয়েছে। কিন্তু আমরা ভাবতে পারিনি দ্বিতীয় দিনেই বল এত নিচু হবে। আবার কয়েকটা বল অতিরিক্ত লাফাচ্ছে। ফলে সামলাতে সমস্যা হচ্ছে ব্যাটারদের। এই পিচে খেলা কঠিন।”
কিন্তু ভারতে টেস্টে তো সাধারণত ঘূর্ণি উইকেটই থাকে। সেখানে ভারতীয় স্পিনারদের খেলতে সমস্যায় পড়ে প্রতিপক্ষ। তা হলে রাঁচীতে কি নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়েছে ভারত? মানতে নারাজ মামব্রে। তিনি বলেন, “পিচ কেমন হবে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কোনও মাঠের পিচ নিয়ে দলের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় না। সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারক নিজের অভিজ্ঞতায় পিচ তৈরি করেন। আমরা ম্যাচের দু’দিন আগে পিচ দেখি। তাই দু’দলের কাছেই পরিস্থিতি এক থাকে।”
দ্বিতীয় ইনিংসে পিচে অসমান বাউন্স থাকায় ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার শোয়েব বশির ও টম হার্টলি কেবল উইকেট লক্ষ্য করে বল করে গিয়েছেন। বাকি কাজ পিচ করেছে। যশস্বী বাদে কোনও ব্যাটারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড বড় লিড নিলে আরও সমস্যায় পড়বে ভারত। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে রোহিতদেরই ব্যাট করতে হবে। এখন দেখার প্রথম ইনিংসে দলের রান কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন ভারতের বাকি ব্যাটারেরা।