অনুষ্টুপ মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জিতে বাংলার হাল ধরলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং অনুষ্টুপ মজুমদার মিলে ১৮৫ রানের জুটি গড়লেন। তাঁদের দাপটে বাংলা তুলল ২৪২ রান।
এ বারের রঞ্জিতে এখনও পর্যন্ত জয় পায়নি বাংলা। শুক্রবার গুয়াহাটিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় বাংলা। সকালের দিকে অসমের পেসারেরা সাহায্য পাচ্ছিলেন। সেই কারণেই অধিনায়ক রিয়ান পরাগ আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তার প্রমাণ বাংলার ৫৭ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়া।
বাংলার দুই ওপেনার সৌরভ পাল (১২) এবং শ্রেয়াংশ ঘোষ (১৩) খুব বেশি রান করতে পারেননি। শ্রেয়াংশ আউট হতেই মহম্মদ কাইফকে নামিয়ে দিয়েছিল বাংলা। সকালের দিকে বোলারদের দাপট, পিচের স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের থেকে ব্যাটারদের বাঁচিয়ে এক জন অলরাউন্ডারকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বাংলার পরিকল্পনা খুব একটা কাজে লাগেনি। কাইফ ১৪ বলের বেশি খেলতে পারেননি। চার নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামিও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রথম সেশনে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা।
প্রথম দিন বাংলার হয়ে রান করা মনোজ তিওয়ারি এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের মাঝে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবি: সিএবি।
বাংলার তরুণ ব্যাটারেরা যে পিচে অসমের বোলারদের সামলাতে হিমশিম খেলেন, তাঁদের অনায়াসে খেললেন মনোজ এবং অনুষ্টুপ। এই মরসুমে লাল বলে দ্বিতীয় শতরান করে ফেললেন রুকু (এই নামেই পরিচিত অনুষ্টুপ)। মনোজ এই মরসুমে প্রথম বড় রান পেলেন। দিনের শেষে দু'জনেই অপরাজিত রয়েছেন। শনিবার তাঁদের ব্যাটে ভর করেই বড় রান তুলতে চাইছে বাংলা।
অসমের হয়ে মুখতার হোসেন প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন। বাংলার দুই ওপেনারকেই আউট করেন তিনি। কাইফকে আউট করেন রিয়ান। সুদীপকে আউট করেন ধরণি রাভা। অসমের বোলারেরা শুরুটা ভাল করলেও অনুষ্টুপ এবং মনোজের দাপটে দিনের শেষে এগিয়ে বাংলা।