এই মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রতি ম্যাচের জন্য বিসিসিআই-কে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা দেয় বাইজুস। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পিছু সেই টাকা কমে হয় ১ কোটি ৫১ লক্ষ। তাই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বেশি আয়োজন করে রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা করছে বোর্ড।
আইপিএল-এর রমরমা চিন্তায় ফেলেছে বোর্ডকে ফাইল চিত্র
আইপিএল-এর বিভিন্ন দলের জার্সির স্বত্ব নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে দেশের বেশ কিছু বড় সংস্থা। তার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা ঢালতে চাইছে তারা। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের জার্সি স্বত্ব নিয়ে চিন্তায় বিসিসিআই। আগামী অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের পরে বিসিসিআই-কে ১৩ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা দিয়েছে ভারতীয় দলের জার্সির বিনিয়োগকারী সংস্থা বাইজুস। এই টাকায় আইপিএল-এর বেশ কিছু ফ্র্যা়ঞ্চাইজির জার্সির স্বত্ব কেনা যায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বা চেন্নাই সুপার কিংসের মতো দলের জার্সির স্বত্ব নিতে গেলে অবশ্য এর প্রায় দ্বিগুণ টাকা দিতে হয়। কিন্তু তাতেও অনেক বেশি লাভ রয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার। তাই সে দিকেই নজর দিচ্ছে সংস্থাগুলি।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় দলে বিনিয়োগের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করতে পারে বিসিসিআই। এই মাসের শেষেই বাইজুসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে বোর্ডের। সূত্রের খবর, চুক্তি আরও বাড়াতে চাইছে বাইজুস। কিন্তু বিসিসিআই চাইছে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থা এগিয়ে আসুক। তা হলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটা প্রতিযোগিতা হবে। তাতে লাভ হবে বোর্ডের।
এই মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রতি ম্যাচের জন্য বিসিসিআই-কে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা দেয় বাইজুস। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পিছু সেই টাকা কমে হয় ১ কোটি ৫১ লক্ষ। তাই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বেশি আয়োজন করে রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা করছে বোর্ড। কিন্তু আইপিএল-এর রমরমা ও সেখানে বিনিযোগের আগ্রহ বোর্ডকে অন্য ভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। এখন দেখার বিনিয়োগ টানার জন্য কী পদ্ধতি নেয় বিসিসিআই।