ঋদ্ধিমানের পাশেই দাঁড়িয়ে কার্তিক বলেন, “ঋদ্ধিমানের সাক্ষাৎকার আমি দেখেছি। ও কোন জায়গা থেকে বলছে বুঝতে পারছি। কোনও ক্রিকেটার মেনে নিতে পারবে না যে তাঁকে ক্রিকেট ছেড়ে এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সারা দিন সে যেটা করছে, সেটাই করতে বারণ করা হয়েছে।”
ঋদ্ধিমান সাহা এবং দীনেশ কার্তিক। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় দলের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহার খেলার প্রশংসা করলেন আর এক উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক। তাঁর মতে বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিই। টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কার্তিক।
ঋদ্ধিমানকে ভারতীয় দলে আর নেওয়া হবে না বলে বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন বাংলার উইকেটরক্ষক। তাঁর মতো এক জন উইকেটরক্ষককে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। কার্তিক বলেন, “ঋদ্ধিমানকে কুর্নিশ। আমার মতে ও দুর্দান্ত। বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ও নিজেকে উজার করে দিয়েছে। ঋদ্ধি বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক। বাকিদের থেকে কয়েক মাইল এগিয়ে থেকে সেরা উইকেটরক্ষক ও।”
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক নিজেও উইকেটরক্ষক। কার্তিক বলেন, “ঋদ্ধির হাত খুব ভাল। ওর হাতের নড়াচড়া দুর্দান্ত। তা ছাড়া ভারতের হয়ে বেশ কিছু শতরান আছে ঋদ্ধি। দলের প্রয়োজনে বেশ কিছু ভাল ইনিংসও খেলেছে।”
৪০টি টেস্টে ভারতের হয়ে খেলেছেন ঋদ্ধি। তিনটি শতরান-সহ তাঁর সংগ্রহ ১৩৫৩ রান। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ১০৪টি উইকেট নেওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁর হাত। কার্তিক বলেন, “এত বছর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছিল ভারতীয় দলে। এখন ঋষভ পন্থ এসেছে। শেষ দু’বছর ভাল খেলেছে ও। এমন ঘটলে ঋদ্ধিকে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হতেই হবে। ও দলের সঙ্গে যাচ্ছে কখনও কখনও ম্যাচ খেলছে। কিন্তু পন্থ তাঁর জায়গা পাকা করে ফেলেছে। এমন অবস্থায় দল কী চাইছে সেটা দেখা প্রয়োজন। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষকের কাজ কী হবে সেটা দেখতে হবে। এই অবস্থায় তরুণ কাউকে চাইতেই পারে দল।”
ঋদ্ধিমানের পাশেই দাঁড়িয়ে কার্তিক বলেন, “ঋদ্ধিমানের সাক্ষাৎকার আমি দেখেছি। ও কোন জায়গা থেকে বলছে বুঝতে পারছি। কোনও ক্রিকেটার মেনে নিতে পারবে না যে তাঁকে ক্রিকেট ছেড়ে এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সারা দিন সে যেটা করছে, সেটাই করতে বারণ করা হয়েছে।”
কার্তিক জানিয়েছেন তাঁরা সকলে দেশের জন্য খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, “আমরা সবাই দেশের হয়ে খেলতে চাই। তাই কেউ যদি এসে বলে, ‘তোমার সময় শেষ।’ সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু বুঝতে হবে কোচ, নির্বাচক, অধিনায়করা কোন জায়গা থেকে কথা বলছে।”