হরমনপ্রীতকে অঞ্জুমের সান্ত্বনা দেওয়ার সেই মুহূর্ত। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেও হেরে গিয়েছেন হরমনপ্রীত কৌররা। মাত্র ৫ রানে হারের পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে়ন হরমনপ্রীত। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। সে সময় তাঁর দিকে এগিয়ে যান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক অঞ্জুন চোপ়ড়া। জড়িয়ে ধরেন হরমনপ্রীতকে। পিঠে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দেন।
খেলার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হরমনপ্রীত গিয়েছিলেন রোদচশমায় চোখ ঢেকে। তখন চোখের জল আড়াল করে রেখেছিলেন। কিন্তু সাজঘরে ফেরার সময় অঞ্জুমকে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি হরমনপ্রীত। প্রাক্তন অধিনায়কের কাঁধে মাথা রেখে কেঁদে ফেলেন। বেশ কিছু ক্ষণ অঞ্জুম জড়িয়ে ধরে রাখেন হরমনপ্রীতকে। সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় তাঁকে। পরে অঞ্জুম জানিয়েছেন সে সময়ের কথা।
অঞ্জুম বলেছেন, ‘‘ওই সময়টা আমাদের দু’জনের কাছেই খুব আবেগের ছিল। চেয়েছিলাম অধিনায়ককে কিছুটা সান্ত্বনা দিতে। তখন এর বেশি কিছু আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভারত অনেক বার সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেও হেরে গিয়েছে। হরমনপ্রীতকে এত মরিয়া হয়ে ব্যাট করতে প্রথম বার দেখলাম। এই প্রতিযোগিতায় ওকে চোট আঘাতের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে। হতে পারে ও প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেনি। তবুও ম্যাচটা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। আর ওর নাম হরমনপ্রীত কৌর।’’
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের মুখে শোনা গিয়েছে বর্তমান অধিনায়কের প্রশংসা। অঞ্জুম বলেছেন, ‘‘হরমনপ্রীত পিছিয়ে যাওয়ার মেয়ে নয়। ও এক পা এগিয়ে এক পা পিছতে পারে। তার পর কিন্তু সামনের দিকেই এগোবে। যেমন সেমিফাইনালের আগে ও নিজেকে শারীরিক ভাবে খেলার মতো অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। প্রথম ২০ ওভার মাঠে দৌড়ে ফিল্ডিং করেছে। তার পর ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জেমাইমা রদরিগেজের ইনিংসও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাও আমি বিশ্বাস করি হরমনপ্রীত শেষ পর্যন্ত থাকলে অন্য রকম ফল হতে পারত।’’
শেষে অঞ্জুম বলেছেন, ‘‘আমাদের ওই মুহূর্তটা ছিল এক জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আর এক জন খেলোয়াড়ের। আমি শুধু কঠিন সময়ে ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’’