Shahid Afridi

জামাই শাহিনের সমালোচনায় ক্ষুব্ধ শ্বশুর আফ্রিদি, একহাত নিলেন প্রাক্তন সতীর্থ শোয়েবকে

খেলোয়াড় জীবনে চোটের জন্য শোয়েব নাকি প্রচুর ইঞ্জেকশন নিতেন। ফলে এখন ভাল করে হাঁটতেও পারেন না প্রাক্তন জোরে বোলার। একটি সাক্ষাৎকারে এমনই বলেছেন আফ্রিদি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৩
Share:

আফ্রিদি একহাত নিলেন প্রাক্তন সতীর্থ শোয়েবকে। ফাইল ছবি।

পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার অশান্তির আঁচ। সদ্য প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে লেগে গেল প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আখতারের। শোয়েব গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাহিন আফ্রিদির চোট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। জামাইয়ের সমালোচনা শুনে মেজাজ বিগড়েছে প্রাক্তন অলরাউন্ডারের। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তিনি।

Advertisement

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চোটের জন্য পুরো চার ওভার বল করতে পারেননি শাহিন। তা নিয়ে শোয়েব বলেছিলেন, ‘‘খেলার সময় আমি যদি পড়ে যেতাম, হাঁটু যদি ভেঙে যেত, তা হলেও খেলতাম। মুখ দিয়ে রক্ত বেরোলেও উঠে দাঁড়াতাম। ইঞ্জেকশন নিয়ে আবার বোলিং শুরু করতাম। অনেকে হয়তো বলবেন, এ ভাবে খেললে হাঁটুর বড় ক্ষতি হবে। জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু আমি বলব, হাঁটু ভেঙে গেলে যাক। বিশ্বকাপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রকম মুহূর্ত বার বার আসে না।’’

শোয়েবের মুখে জামাইয়ের সমালোচনা শুনে চটেছেন আফ্রিদি। তিনি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘শোয়েব খেলোয়াড় জীবনে এত ইঞ্জেকশন নিয়েছিল যে এখন ভাল করে হাঁটতেও পারে না। এটাই ওর মান।’’ এখানেই থামেননি শাহিনের শ্বশুর। আফ্রিদি বলেছেন, ‘‘শোয়েব আখতার, শোয়েব আখতারই। ও-ই শুধু এ রকম করতে পারে। এ ভাবে খেলা খুব কঠিন। সবাই শোয়েব হয় না। চোট নিয়ে খেলা অত্যন্ত ঝুঁকির। ইঞ্জেকশন বা ব্যথা কমানোর ওষুধ নিয়ে খেললে আরও বড় চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে। যাই হোক, শোয়েবকে একটু একা থাকতে দিন।’’

Advertisement

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চোটের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুরো চার ওভার বল করতে পারেননি শাহিন। তা নিয়ে শোয়েবের মতে, শাহিনের আরও সাহসী হওয়া উচিত ছিল। ফাইনালে শাহিনকে দরকার ছিল পাকিস্তানের। তিনি শাহিনের জায়গায় থাকলে যন্ত্রণা উপেক্ষা করে বোলিং করতেন। প্রাক্তন সতীর্থের মুখে জামাইয়ের কড়া সমালোচনা শুনে মেজাজ হারিয়েছেন আফ্রিদি। খোঁচা দিয়েছেন শোয়েবকে।

হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাঁটুর পুরনো চোটের জায়গায় আঘাত পেয়েছিলেন শাহিন, তার পর ফাইনালে আর বল করতে পারেননি তিনি। নিজের তৃতীয় ওভারের একটি বল করে উঠে গিয়েছিলেন মাঠ থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement