অক্ষর পটেল। —ফাইল চিত্র।
চোটের জন্য গত এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। দলে থেকেও ছিটকে যেতে হয়েছিল অক্ষর পটেলকে। বিশ্বকাপ খেলতে না পারার হতাশা গ্রাস করেছিল বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে। কমিয়ে দিয়েছিলেন মোবাইলের ব্যবহারও। কঠিন সেই সময় অক্ষর পাশে পেয়েছিলেন স্ত্রীকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটজীবনের কঠিন সময়ের কথা বলেছেন অক্ষর। ভারতীয় দলে ফেরার জন্য পরিশ্রম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সে সময় মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না। অক্ষর বলেছেন, ‘‘এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে না পেরে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক প্রতিযোগিতার আগে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলাম। আগেও অনেক বার চোট লেগেছে। কিন্তু কখনও এত হতাশ হইনি। ঠিক করেছিলাম ১০০ শতাংশ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরব। রিহ্যাবে ফাঁকি দিইনি। ট্রেনিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। ক্রিকেট ছাড়া মাথায় কিছু ছিল না তখন। কারণ ছোট থেকে আমার লক্ষ্য ছিল দেশের হয়ে আইসিসি ট্রফি জেতা। এ বার লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় ভাল লাগছে।’’
কঠিন সময় অক্ষর পাশে পেয়েছিলেন স্ত্রীকে। ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘একটা সম্পর্কের মধ্যে অনেক ছোট ছোট বিষয় থাকে। যেগুলো সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তোলে। যে কোনও মানুষের সাফল্যের পিছনে তার জীবনসঙ্গীর অবদান থাকে। আমার সাফল্যের নেপথ্যেও মেহার অবদান কম নয়। ওর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চোট সারানোর পর নিজেকে ক্রিকেটে ডুবিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম। তখন অধিকাংশ সময় মোবাইল ব্যবহার করতাম না। আমি কী চাই, ও বুঝতে পেরেছিল। পাশে ছিল সব সময়। আমাকে আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে মেহা। ওর মতো জীবনসঙ্গী পেয়ে আমি সত্যিই ধন্য।’’
এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম করেছেন অক্ষর। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলকে সাহায্য করেছেন। বিশ্বকাপ জিতে বাড়ি ফেরার পর অক্ষরের স্ত্রী বিশেষ রঙ্গোলি তৈরি করেছিলেন তাঁকে স্বাগত জানাতে। যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমেও। অক্ষর বলেছেন, ‘‘মেহা প্রায়ই রঙ্গোলি তৈরি করে, এমন নয়। ও এমন চমক দেবে ভাবতে পারিনি। বাড়ি ফেরার আগে মেহা শুধু বলেছিল, কোনও একটা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। রঙ্গোলিটা করতে ওর দু’দিন সময় লেগেছে। ওর দেওয়া এই উপহারটা আমার কাছে অমূল্য। আমাকে জীবনের একটা বিশেষ মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। বলতে পারেন ওর ভালবাসা আমার জীবনকে পূর্ণ করেছে।’’
গত এক বছরে অক্ষরের ক্রিকেটজীবন একাধিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্ত্রী মেহাকে পাশে পেয়েছেন অক্ষর। সাফল্যের সময় ভোলেননি স্ত্রীর ভূমিকা।