আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে একের পর এক বড় দলকে হারিয়েই চলেছে আফগানিস্তান। সোমবার পুণেতে তারা হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে। আফগানিস্তান জিতল ৭ উইকেটে। বিশ্বকাপেই আগেই ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। এ বার রশিদ খানদের শিকার শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে এই নিয়ে তিনটি ম্যাচে জিতল আফগানিস্তান। এত ভাল বিশ্বকাপ আগে কখনও যায়নি তাদের। জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে উঠে এল আফগানিস্তান। ৬ ম্যাচে তাদের ৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্টে আটকে থাকায় শ্রীলঙ্কার শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা কমল।
যে ক’টি ম্যাচে আফগানিস্তান জিতেছে, তার প্রতিটিতেই দলগত অবদান দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটারের বড় ইনিংস দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ড ম্যাচে ভাল খেলেছিলেন দুই ওপেনার। এ দিন এক ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজ় শূন্য রানে আউট হলেও, পরের দিকে ব্যাটারেরা ভাল ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিলেন। বল হাতে ভাল পারফর্ম করেছেন ফজলহক ফারুকি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটারই দীর্ঘ ক্ষণ ক্রিজে থেকে বড় রান করতে পারেননি। দলের ২২ রানের মাথায় ফেরেন দিমুত করুণারত্নে (১৫)। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি বাঁধেন পথুম নিসঙ্ক এবং কুশল মেন্ডিস। দু’জনেই ক্রিজে থিতু হয়ে গিয়েও উইকেট দিয়ে দেন। নিসঙ্ক ফেরেন ৪৬ রানে। মেন্ডিস আউট হন ৩৯ রানে। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার সাদিরা সমরবিক্রমও (৩৬) দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরের দিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ় (২৩) এবং মাহিশ থিকশানার (২৯) ইনিংসে ভর করে আড়াইশোর কাছাকাছি পৌঁছয় শ্রীলঙ্কা। ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
এই রান আফগান ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্যে উপযুক্ত ছিল না। বিশেষত যেখানে তাদের দুই ওপেনারই ফর্মে। তবে এ দিন প্রথম ওভারেই দিলশান মদুশঙ্ক দুরন্ত বলে ফিরিয়ে দেন গুরবাজ়কে। ব্যস্, ওই এক বারই আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বোলারেরা। আফগানিস্তানের হয়ে অর্ধশতরান করলেন রহমত শাহ (৬২), হাসমাতুল্লা শাহিদি (অপরাজিত ৫৮) এবং আজমাতুল্লা ওমরজ়াই (অপরাজিত ৭৩)।
শ্রীলঙ্কার নখদাঁতহীন বোলিং খেলতে অসুবিধা হল না আফগানিস্তানের। চোটের কারণে লাহিরু কুমারা, অধিনায়ক দাসুন শনাকা এবং মাথিশা পাথিরানার ছিটকে যাওয়া শ্রীলঙ্কাকে খুবই বিপদে ফেলে দিল। বোলারদের মধ্যে এমন কোনও ধার নেই যা নিয়ে তারা লড়াই দিতে পারেন। আফগানিস্তানের ব্যাটারদেরও খেলতে অসুবিধা হল না।