বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
গত ১৪ বছর হয়ে গেল পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা আইপিএলে খেলেন না। গত ১১ বছরে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলতে তাঁরা এ দেশে আসেননি। ফলে ভারতের পিচ তাঁদের পরিচিত নয়। ‘বিদেশি’ পরিবেশে প্রথম বার খেলার কারণেই বিশ্বকাপে তাঁদের এই অবস্থা। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে এমনই অজুহাত খাড়া করলেন পাকিস্তানের কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন।
টানা চার ম্যাচে হেরে গিয়ে বিশ্বকাপে খাদের কিনারায় পাকিস্তান। মঙ্গলবার হারলেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, “বিশ্বকাপে বিদেশি পরিস্থিতিতে খেলতে হচ্ছে। আমাদের কেউ আগে এখানে খেলেনি। প্রত্যেকটা মাঠই নতুন। কলকাতাও।”
পাক কোচের মতে, বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করে এলেও ফলিত স্তরে তার কোনও প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রত্যেক প্রতিপক্ষ, মাঠ সম্পর্কে গভীরে পড়াশোনা করেছি। তবে বাস্তব হল, সবাই এখানে প্রথম বার খেলছে। দলের ক্রিকেটারদের জ্ঞান, দক্ষতা, গুণমান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।”
পড়াশোনা করলেও তাঁদের প্রস্তুতিতে অভাব ছিল বলে মনে করেন ব্র্যাডবার্ন। বলেছেন, “এ ধরনের প্রতিযোগিতার জন্যে অন্তত চার বছরের প্রস্তুতি লাগে। আমরা ছ’সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়েছি। যে ভাবে ক্রিকেট খেলতে তার জন্যে প্রয়োজনীয় বদল করেছি। গত ছ’মাসে অনেক বদল দেখা গিয়েছে। কিছু পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতেই হবে। কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য আসতে বেশ দেরিই হচ্ছে।”
বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু দিন এক দিনের ক্রিকেটে এক নম্বর দল ছিল পাকিস্তান। তাঁরা যে ট্রফির দাবিদার ছিলেন তা মানতে নারাজ ব্র্যাডবার্ন। বলেছেন, “আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের উপর আমার বিশ্বাস নেই। আমরা তো ভারতের বিরুদ্ধে খেলি না। উপরের দিকে থাকা অনেক দেশের বিরুদ্ধেও নিয়মিত খেলি না। এখনও বিশ্বের সেরা হইনি আমরা। বিশ্বকাপে আমাদের অবস্থা দেখলে সেটা আরও স্পষ্ট হবে।”