মাঠে উপস্থিত দর্শকরা।—ছবি এএফপি।
করোনাভাইরাস অতিমারিতে সারা বিশ্বে ফুটবল কার্যত স্তব্ধ। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে তুর্কমেনিস্তানে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে তাদের ফুটবল মরসুম নতুন করে শুরু করে দিল। শুধু তাই নয়, একেবারে গ্যালারিতে দর্শক বসিয়ে। অবশ্য, এই দেশটি জানিয়ে আসছে, তাদের দেশে নাকি মারণ ভাইরাসে একজনও আক্রান্ত নেই!
মার্চে বেশির ভাগ দেশের মতো তুর্কমেনিস্তানেও মাত্র তিন ম্যাচ খেলা হতেই তাদের আট দলের লিগ বন্ধ করা হয়েছিল। এবং এখনও সংক্রমণ রুখতে কোনও দেশেই লিগ হচ্ছে না। অন্যতম ব্যতিক্রম মধ্য এশিয়ার এই দেশটি। তারা কিন্তু কোনও রকম সতর্কতার তোয়াক্কা না করে দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামেই আবার খেলা চালু করে দিল। রবিবার যেমন খেলা দেখলেন ৩০০ দর্শক।
সে দেশের অনেক মানুষই লিগ শুরু হওয়ার খবরে উল্লসিত। ৩৪ বছরের ব্যবসায়ী আশির ইউসুপভ যেমন বললেন, ‘‘ফুটবল খেলার আনন্দই আমাদের মধ্যেই তৈরি করে দেবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।’’ তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, গত বারের চ্যাম্পিয়ন আলতিন আশির ও টেবলে শীর্ষে থাকা দল কোপেতদাগের খেলা দেখার জন্যই তিনি উন্মুখ হয়েছিলেন।
ইউসুপভের আরও দাবি, তাঁর দেশে সংক্রমণ নেই। বলছেন, ‘‘আমাদের দেশে একজনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তা হলে কেন লিগ আবার শুরু হবে না?’’ শুধু তুর্কমেনিস্তানে নয়, সাবেক সোভিয়েতের আরও দু’টি দেশ তাজিকিস্তান ও বেলারুশও স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছে। তবে তার জন্য বেলারুশের যথেচ্ছ সমালোচনা হয়েছে। আর তুর্কমেনিস্তানের মতো তাজিকিস্তানও দাবি করছে, তাদের দেশে এখনও কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
তুর্কমেনিস্তানে লিগ শুরু হওয়া নিয়ে কুড়ি বছর বয়সি আর এক ফুটবলপ্রেমী ভেপার প্রতিক্রিয়া, ‘‘হাতে সময় থাকলে আমি কখনও কোনও ফুটবল ম্যাচ দেখার সুযোগ ছাড়ি না।’’ তাই আলতিন আসির বা কোপেতদাগের সমর্থক না হয়েও এই ম্যাচটি দেখতে তিনি মাঠে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে নেটে পেলেই আউট করব’, বিরাটকে ওপেন চ্যালেঞ্জ সাকলিনের