ভুটান দলের সঙ্গে অতনু লাহিড়ি নিজস্ব চিত্র
দাবার দুনিয়ায় তাদের শিশু বলা চলে। ২০০৫ সালে সেখানে দাবার জন্ম। এত দিনে মাত্র এক বার খেলেছে দাবা অলিম্পিয়াড। নতুন হলেও নিজেদের উপর আস্থা রয়েছে ভুটানের দাবাড়ুদের। চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দেওয়ার আগে কলকাতায় এসে অতনু লাহিড়ির কাছে ক্লাস করে গেলেন তাঁরা।
বুধবার কলকাতায় আসে ভুটান দল। প্রাক্তন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন অতনুর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সময় কাটান তাঁরা। প্রতিযোগিতার নানা কৌশল তাঁদের শেখান অতনু। দেন পরামর্শ। গুরুর পরামর্শ নিয়ে চেন্নাইয়ে রওনা দেয় ভুটান দল।
কিন্তু কেন অতনুর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে গেল ভুটান দল? কারণ, ভুটানে দাবা শুরুর পিছনেও রয়েছে অতনুর হাত। তাই ২০০৫ সালে ভুটান দাবা সংস্থা তৈরি হওয়ার পর থেকেই সেই দলের মেন্টর হিসাবে রয়েছেন এই বাঙালি দাবাড়ু। দাবা শুরু হলেও সংস্থার উদাসিনতার জন্য তার প্রসার খুব একটা বেশি হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালে নরওয়েতে দাবা অলিম্পিয়াডে খেলতে গিয়েছিল ভুটান। সেই শেষ।
পরামর্শ দিচ্ছেন অতনু নিজস্ব চিত্র
তবে ভুটান দাবা সংস্থার ম্যানেজমেন্টে রদবদলের পরে সে দেশে দাবার ছবিটা বদলেছে। সেখানে স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে দাবা। অল্প বয়স থেকেই ছেলেমেয়েরা দাবায় উৎসাহ দেখাচ্ছে। তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
ভুটান দল নিয়ে আশাবাদী অতনু। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘দাবাড়ুদের বয়স খুব কম। কিন্তু তাদের প্রতিভা অনেক বেশি। ২০১৪ সালে যে দল দাবা অলিম্পিয়াড খেলতে গিয়েছিল তার থেকে এই দল অনেক বেশি শক্তিশালী। গোটা দেশ থেকে দাবাড়ু উঠে আসছে। ভুটানে দাবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’’