রয় কৃষ্ণ ও মনবীর সিংহ টুইটার
পিছিয়ে থেকেও আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের রণকৌশলের জেরে মাজিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপে দ্বিতীয় জয় পেল এটিকে মোহনবাগান।
হুগো বোমাসকে বাইরে রেখে খেলা শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে নামাতেই দ্বিতীয় গোল পায় সবুজ-মেরুন। তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রেও অ্যাসিস্ট তাঁরই। বোমাস না থাকায় প্রথমার্ধে মাঝমাঠে আক্রমণ দানা বাঁধছিল না। অনেক ফাঁক তৈরি হচ্ছিল।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল পায় মাজিয়া। ডানদিক থেকে উঠে আসেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। সুমিত রাঠিকে পেছনে ফেলে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। ফাঁকায় আইসাম ইব্রাহিমকে দেখতে পেয়ে গড়ান ক্রস বাড়িয়ে দেন তিনি। ইব্রাহিমের ছোট্ট টোকায় বল গোলে ঢুকে যায়।
ডানদিক থেকে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসেন মনবীর সিংহ। তবে গোল হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বার কয়েক লেনি রডরিগেজ দূর থেকে শট করলেও মাজিয়া গোলরক্ষক মির্জোখিদকে পরাস্ত করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুমিত রাঠির জায়গায় আশুতোষ মেহতাকে নামান হাবাস। ৪৮ মিনিটেই এই পরিবর্তনের ফসল তোলে এটিকে মোহনবাগান। গোল করেন লিস্টন। ডানদিক থেকে আশুতোষের ক্রস, রয় কৃষ্ণ হেড দিতে না পারলেও পেছন থেকে ছুটে আসা লিস্টন হেড করে বল জালে ঢুকিয়ে দেন।
মাঠে নেমেই নিজের কাজ করে ফেলেন হুগো বোমাস। ৬৪ মিনিটে ডিফেন্স চেরা পাস দেন তিনি। বল ধরে গোলের দিকে এগিয়ে গেলে গোলরক্ষক মির্জোখিদও এগিয়ে আসেন। লিস্টনের শট বাঁচাতে পারলেও বল পড়ে কৃষ্ণর পায়ে। গোলরক্ষকের নাগাল এড়িয়ে বল গোলে পাঠিয়ে দেন কৃষ্ণ।
৭৭ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন মনবীর। বোমাসের পাস থেকে একা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল করেন মনবীর। এই হারের ফলে বিদায় নিল মাজিয়া। ২৪ অগস্ট বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে খেলবেন কৃষ্ণরা। সেই ম্যাচে জিতলে এটিকে মোহনবাগান সরাসরি পরের রাউন্ডে চলে যাবে। হারলে তাদের প্লে-অফে খেলতে হবে।
(এএফসি কাপে পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান, এই মর্মে প্রথমে আমাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তবে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে গেলে পরের ম্যাচে জিততে হবে সবুজ-মেরুনকে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)