অলিম্পিক্স উপলক্ষে সেজে উঠেছে প্যারিস। ছবি: রয়টার্স।
বড় সমস্যায় পড়েছিলেন প্যারিস অলিম্পিক্সের আয়োজকেরা। বোনাসের দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন প্যারিস বিমানবন্দরের কর্মীরা। অলিম্পিক্স চলাকালীন ধর্মঘট চললে যাত্রী পরিষেবায় সমস্যা হত। সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রী পরিষেবায় সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
প্যারিস বিমানবন্দরের কর্মীদের সংগঠনের সটিব রাচিড এদ্দাইজ বলেন, “তিনটি সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। আমাদের সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কথা বলেছে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। অলিম্পিক্স চলাকালীন বিমানবন্দরে যাত্রী বাড়বে। তাই কাজের চাপ বাড়বে। সেই কারণে অতিরিক্ত বোনাস ও আরও কর্মী নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। এত দিন পরে সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।”
প্যারিসে দু’টি বিমানবন্দর রয়েছে। চার্লস ডে গাওলি এবং ওর্লি বিমানবন্দর। অলিম্পিক্স উপলক্ষে ৪৫৭ কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দর দু’টির সংস্কার করা হয়েছে। সেখানে যাত্রী পরিষেবার মান আরও বাড়ানো হয়েছে। চার্লস ডে গাওলি বিমানবন্দরে গড়ে প্রতি দিন ৩ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন। ওর্লি বিমানবন্দরে গড়ে প্রতি দিন চলাচল করেন ২ লক্ষ যাত্রী। অলিম্পিক্স চলাকালীন সেই সংখ্যা অনেক বাড়বে। সেই কারণেই যাত্রী পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে।
তবে এখনও চিন্তায় রয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৬ জুলাই থেকে প্রতিযোগিতা শুরু। তার আগে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদেরা সেখানে যাবেন। কিন্তু ১১ অগস্ট প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরে প্রায় সব দেশের ক্রীড়াবিদেরা একসঙ্গে ফিরবেন। দর্শকেরাও নিজের নিজের দেশে ফিরবেন। সেই ভিড় কী ভাবে সামলানো যাবে তার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।