Digha Police station

অখিল ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা

কাঁথির প্রকাশ্য রাস্তায় অখিলকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান দেন রাজেশ মাইতি নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১২
Share:

অখিল গিরি। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে ‘কুকথা’ বলে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিকের নিজের এলাকার এক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য। এ বার উত্তম ঘনিষ্ঠ সেই পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পুলিশকর্মীরাও। এই ঘটনায় অখিল ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল নেতা-সহ তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে দিঘা থানার পুলিশ।

Advertisement

গত ১৪ জানুয়ারি কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি বেধেছিল। কাঁথির প্রকাশ্য রাস্তায় অখিলকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান দেন রাজেশ মাইতি নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁকে ‘বোমা মেরে খতম করে দেওয়া’র পাল্টা হুমকি দেন অখিলও। পরের দিনই আক্রান্ত হন রাজেশ। তিনি দিঘায় রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ সংস্থার ডিপোয় কাজ করেন। অভিযোগ, যুব তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব চন্দের নেতৃত্বে শাসক দলের একদল কর্মী ডিপোয় ঢুকে রাজেশকে মারধর করে। খবর পেয়ে সেখানে যায় দিঘা থানার পুলিশ। রাজেশকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই পুলিশকর্মী। তাঁদের দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এই ঘটনায় অপূর্ব-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপূর্ব এলাকার প্রধান অশোক চন্দের ছেলে। কিছুদিন আগে সৈকত শহরে দোকান ভাঙচুরে নাম জড়িয়েছিল অশোকের। সম্প্রতি জেলা সফর থেকে ফিরে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অশোককে নিয়ে গিয়েছিলেন অখিল। সেই অশোকের ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিজের থেকে মামলা করা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

এ ব্যাপারে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডার দাবি, ‘‘কোনও রাজনীতির রং না দেখে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ আর গোটা ঘটনায় প্রশাসনকে বিঁধে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘‘এ তো তৃণমূলের দুই নেতার দুই শিবিরের গুঁতোগুঁতি। আর পুলিশ নীরব। এখন চক্ষুলজ্জা এড়াতে বাধ্য হয়ে মামলা করেছে। কিন্তু কাউকেই গ্রেফতার করেনি। ’’ পুলিশের অবশ্য দাবি, অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক। তাদের ধরার সব রকম চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement