মানবিক: চোট পাওয়া ভক্তকে দেখতে গাড়ি থেকে নামলেন সালাহ।
ইপিএলে নরউইচ সিটিকে ৪-১ হারানোর পরের দিনই বিপত্তি। লিভারপুলের মেলউড ট্রেনিং সেন্টারে এসেছিল এগারো বছরের লুইস ফাউলার এবং তার ভাই আইজ্যাক। উদ্দেশ্য, তারকা ফুটবলারদের সামনে থেকে দেখা এবং সুযোগ পেলে তাদের সঙ্গে ছবি তোলা।
নরউইচের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে গোল করা সালাহর গাড়ি ট্রেনিং সেন্টার থেকে বেরোতেই তারা দৌড় শুরু করে। গাড়ির কাছে পৌঁছতে গিয়ে ফাউলার রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে সজোরে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তার নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে।
গোটা ঘটনা চোখ এড়ায়নি লিভারপুলের মিশরীয় তারকার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। ফাউলারকে জড়িয়ে ধরে জানতে চান, সে ঠিক আছে কি না। পরে তার সঙ্গে ছবিও তোলেন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দ্রুত সে ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার পরে ফাউলারের সৎবাবা জো কুপার লিভারপুলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা মেলউড ট্রেনিং সেন্টারের ঠিক উল্টো দিকে থাকি। ওরা দু’জন ছুটির দিনটা ওখানে কাটাচ্ছিল প্রিয় ফুটবলারদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সবার শেষে বেরিয়েছিল মো সালাহ (মহম্মদ সালাহ)। ও বেরোতেই ছেলেরা হাত নাড়তে থাকে। যাতে ওর চোখে পড়ে। দুর্ভাগ্যবশত লুইস গাড়ির দিকে দৌড়ে আসার সময় ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা খায়। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে ওর নাক কেটে যায়।’’
কুপার আপ্লুত ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পরে সালাহ গাড়ি থেকে নেমে আসায়। তাঁর কাছে গোটা ব্যাপারটাই অবিশ্বাস্য। তিনি ভাবতে পারছেন না, লিভারপুলের মহাতারকা ফুটবলার তাঁর ছেলেদের সঙ্গে ছবি তুলবেন। বলেছেন, ‘‘মো নিজেই ঘটনায় লজ্জা পেয়ে যায়। অথচ ওর কোনও দোষই ছিল না। আমি যে কী ভাবে ওকে ধন্যবাদ জানাব নিজেই বুঝতে পারছি না। ও সত্যি অসাধারণ মানুষ। সালাহ আমার ছেলেদের নায়ক। এতদিনে ওদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’’