রকমারি আমিষ খাবারে আপত্তি নেই, কিন্তু সব্জি ফল খেতেই যত বিরক্তি? শরীর ভাল রাখতে জাতীয় খাবার যেমন প্রয়োজন তেমনই শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণে শাক, সব্জি ও ফল খাওয়া জরুরি। খাবার পাতে অনেকে শসা ও পেঁয়াজ রাখলেও, আলাদা ভাবে স্যালাড খেতে আপত্তি থাকে অনেকেরই। অথচ ওজন ঝরাতে স্যালাড বেশ কার্যকর। তাছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করতে পারে একবাটি স্যালাড।তবে অনেকেরই এই খাবার স্বাদহীন মনে হয়। কয়েকটি সহজ উপায়ে স্যালাডও করে নিতে পারেন সুস্বাদু। কী ভাবে স্যালাড বানালে, হাত চেটে খাবেন?
আমিষের ছোঁয়া
যাঁরা মাংস, ডিম ভালবাসেন তাঁরা কিন্তু স্যালাডে সেই উপকরণ জুড়তে পারেন।এতে স্যালাড খেতে আগ্রহ বাড়বে। মুরগির মাংস সেদ্ধ করে বা মশলা মাখিয়ে গ্রিল করে সেই টুকরো মিশিয়ে নিতে পারেন স্যালাডে। স্যালাডের উপকরণও নিজের মতো বেছে নিতে পারেন। সেদ্ধ ডিমের টুকরো দিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিতে পারেন।
স্যালাড ড্রেসিং
ড্রেসিং স্যালাডের স্বাদ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। অলিভ অয়েল, থেঁতো করা রসুন, লেবুর রস, গোল মরচি ও নুন দিয়ে ড্রেসিং বানিয়ে নিতে পারেন। জল ঝরানো টক দই, মেয়োনিজও ব্যবহার করতে পারেন স্যালাডে বাড়তি স্বাদ আনতে।
নতুন নতুন স্যালাড
গ্রিক, রাশিয়ান-সহ বিভিন্ন ধরনের স্যালাড চেখে দেখতে পারেন। একই ধরনের স্যালাড না খেয়ে উপকরণ ও ড্রেসিং বদলে স্যালাডের স্বাদও বদলে যায়। নিত্য নতুন পদ, স্যালাডের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারে।
উপকরণ
রকমারি সব্জির পাশাপাশি স্বাদে খানিক বদল আনতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, জেলেপিনো, নানা ধরনের বীজ, ফেটা চিজ় ব্যবহার করতে পারেন। সেদ্ধ রাজমা, কাবুলি ছোলা যোগ করলেও স্বাদ কিছুটা অন্য রকম লাগতে পারে।
ফল
ফল ভালবাসলে আম, বেদানা, স্ট্রবেরি বা পছন্দের যে কোনও ফলই স্যালাডে যোগ করতে পারেন। এক একজনের ভাললাগা এক একরকম। উপযুক্ত ড্রেসিং, উপকরণের মিশ্রণে স্যালাডই হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু।