গ্রিল করার সময়ে কোন কোন ভুলে স্বাদের বারোটা বাজতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
মাংস হতে হবে নরম, তাতে থাকবে সমস্ত মশলার সঠিক অনুপাত, থাকতে হবে হালকা পোড়া গন্ধ। তবেই না গ্রিলড চিকেন! শুধু মুরগির মাংস নয়, মাছ ও রকমারি সব্জি গ্রিল করেও খাওয়ার চল ইদানীং বেড়েছে। কিন্তু রেস্তরাঁর খাবারে যে স্বাদ আসে, বাড়িতে কিছুতেই যেন তেমনটা হতে চায় না। কখনও মাছ বা মাংস শুকনো-শক্ত হয়ে যায়। কখনও আবার তাতে সেই রসালো ভাবটাই থাকে না। কী ভাবে গ্রিল করলে এই সমস্যা এড়ানো যাবে?
পরিষ্কার করে নিন
গ্রিল করার আগেই গ্রিলারটি পরিষ্কার করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। গ্রিলারের জালিতে খাবারের কোনও অংশ বা উপকরণ লেগে থাকলে তা পুড়ে গিয়ে খাদ্যের মান ও স্বাদ দুই-ই নষ্ট করতে পারে। প্রতি বার গ্রিল করার পরই তা মুছে নেওয়া প্রয়োজন।
তাপমাত্রা
অনেকে মাইক্রোঅয়েভ অভেনে গ্রিল মোডে গ্রিল করেন। আবার অনেকে আলাদা গ্রিলার কিনেও তাতেও গ্রিল করেন। যে গ্রিলারই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা সঠিক ভাবে গরম করা জরুরি। না হলেই গ্রিলারের জালিতে খাবার আটকে যেতে পারে। ভাল করে সেদ্ধ হতেও সমস্যা হবে।
মাছ হোক বা মাংস, বিভিন্ন মশলা মাখিয়ে অন্তত ঘণ্টাখানেক ফ্রিজে রেখে দিলে স্বাদ ভাল হয়। তবে ফ্রিজ থেকে বার করে ঠান্ডা মাছ বা মাংস সরাসরি গ্রিল করার জন্য বসিয়ে দিলে, তা সেদ্ধ হতে সময় লাগবে। ভিতরটা শক্ত রয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মশলা মাখানো মাংস বা মাছ, ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার।
মাখন বা তেল
রেস্তরাঁর গ্রিলড চিকেন বা মাছে নরম ও রসালো ভাব থাকে। সে জন্যই মাংস-মাছ কিংবা সব্জি গ্রিল করার সময় খানিক ক্ষণ অন্তর তেল বা মাখন ব্রাশের সাহায্যে লাগিয়ে দেওয়া জরুরি। পুড়ে যাওয়া রুখতে মাংস বা সব্জি চিমটির সাহায্যে উল্টে দিতে হবে, সেই অংশে তেল বা মাখন লাগাতে হবে। এ ভাবে বারে বারে তেল বা মাখন দিলে কখনও গ্রিলড চিকেন, পোড়া কাঠের মতো শক্ত হবে না।
কাঠকয়লা
গ্রিল করার সময় কাঠকয়লা ব্যবহার করলে খাবারে বাড়তি স্বাদ ও গন্ধ যোগ হয়। তবে কাঠকয়লা যখন পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, সেই সময় হালকা আঁচে গ্রিল করতে হবে। এতে সময় বেশি লাগলেও, খেতে ভাল হবে। অতিরিক্ত পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।