তেল ছাড়াই তৈরি হবে মুখরোচক খাবার? ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়ার জন্য চেষ্টার অন্ত নেই। শরীরচর্চা, মেপে খাওয়া, সব কিছুই করছেন। ফলও মিলতে শুরু করেছে। কিন্তু রোজ কি আর সেদ্ধ, মাপা খাবার খেতে ইচ্ছে করে? মাঝেমধ্যে জিভকেও তো তুষ্ট করা প্রয়োজন। তেলেভাজা বাদ। মোগলাই, ফিশ ফ্রাইয়ের দিকে তাকানোও যাবে না। তার পরেও যদি মুচমুচে, কুরমুরে সুস্বাদু কিছু খেতে ইচ্ছা করে, তা হলে বানিয়ে ফেলুন তিনটি পদ।
তেল ছাড়া বড়া
চিঁড়ে সামান্য একটু জল ভিজিয়ে রেখে, তার সঙ্গে আলু সেদ্ধ, নুন, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, চাটমশলা দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। মিশ্রণটি একটি মণ্ডে পরিণত হবে। তবে এতে জল দেওয়া যাবে না। এ বার হাতে করে চ্যাপ্টা বড়ার আকার দিতে হবে। তেল ছাড়া সেঁকার জন্য ভাল নন স্টিক কড়াই প্রয়োজন। কড়াইতে ঢাকা দিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিলেই হয়ে যাবে বড়া। আপ্পামের গোল খোপ কাটা পাত্রেও এই বড়া তৈরি করতে পারেন।
সুইটকর্ন চাট
সুইটকর্ন খেতে যেমন ভাল, তেমনই এতে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণও। সুইটকর্ন সেদ্ধ করে তার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সামান্য বিটনুন, পেঁয়াজ, গোলমরচি গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মেখে নিলেই চাট তৈরি। এই চাটে তেলের প্রয়োজন হয় না। অথচ খেতেও চমৎকার হয়।
পাঁপড়-চিজ় চাট
মশলা বা মশলা ছাড়া পছন্দমতো যে কোনও পাঁপড় বেছে নিতে পারেন। পাঁপড়ের একটা পিঠ কড়াইতে হালকা করে সেঁকে নিতে হবে। সেঁকে নেওয়া অংশটি উপরের দিকে থাকবে, কাঁচা অংশটি নীচে। সেঁকে নেওয়া অংশটির উপর থেকে পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা কুচি ছড়িয়ে, তার উপর চিজ় দিতে হবে। আঁচ কমিয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে ১-২ মিনিট রেখে দিলেই চিজ় গলে যাবে। উপর থেকে ছড়িয়ে নিতে পারেন বিটনুন বা চাটমশলা। পাপড়ের চাট মুখে দিলেই স্বাদকোরক তুষ্ট হবে।