প্রতীকী ছবি।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে বিশেষ কয়েক ধরনের খাবার। এ সময়ে বিশেষ করে টক খেতে বলা হয়। তাতে শরীর ভিতর থেকে শীতল হবে।
কিন্তু রোজ নানা পদ রান্না করার সময় হয় না। শুক্তো থেকে চাটনি, ভাগে ভাগে খাওয়ার সময়ই বা কোথায়? সপ্তাহের কাজের দিনে কোনও মতে একটি বা দু’টি পদ রান্না করে খেয়ে অফিসের জন্য তৈরি হতে হয়। এমন ক্ষেত্রে কোন তিন ধরনের উপকরণ রান্নায় ব্যবহার করলে শরীর থাকবে ঠান্ডা, আবার বেশি পদ রান্নাও করতে হবে না?
১) টক দই: টক দই নানা ভাবে যত্ন নেয় শরীরের। দইয়ে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিনের মতো নানা ধরনের উপকারী উপাদান থাকে। গরমকালে টক দই খেলে শুধু শরীর ঠান্ডা থাকে না, সঙ্গে হজমও হয় তাড়াতাড়ি। গরমকালে অনেকেই বেশি তেল-মশলা দেওয়া কোনও রান্না হজম করতে পারেন না। তাই এ সময়ে মাছ-মাংসের ঝোল হোক কিংবা পটল, বেগুন, ঝিঙের মতো সব্জি— অল্প টক দই দিয়ে রান্না করে দেখতে পারেন। স্বাদ ও স্বাস্থ্য, দুই-ই থাকবে।
গরমকালে টক দই খেলে শুধু শরীর ঠান্ডা থাকে না, সঙ্গে হজমও হয় তাড়াতাড়ি।
২) কাঁচা আম: সারা বছর এ জিনিসটি তো এত সহজে মেলে না। কাঁচা আমের চাটনি না করে আমের ডাল কিংবা আম দিয়ে মাছের ঝোল করে নিতে পারেন। রাঁধতে পারেন মাছের টকও। ছোট মাছ হোক কিংবা কাতলার মতো বড় মাছ, সবেতেই কাঁচা আম দিলে অন্য রকম স্বাদ আসে। মন ও শরীর, আরাম পাবে দুই-ই।
৩) তেঁতুল: তেঁতুল দিয়ে যেমন আলুর দম, কাঁচকলার দম রান্না করা যায়, তেমন সাধারণ যে কোনও তরকারিতে তেঁতুল গুলে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পটল মরিচ রান্না করলে অল্প তেঁতুল গোলা জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে টক-ঝাল স্বাদ আসবে। তেঁতুল বিপাক হার বাড়াতেও সাহায্য করে। ফলে রান্নায় নিয়মিত তেঁতুল ব্যবহার করলে শরীরের মেদও ঝরতে শুরু করবে।