রান্নার পদ্ধতিতে বদল আনলেই মনের মতো খাবার খেয়েও ওজন বশে রাখা যায়। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভাজাভুজি থেকে চিলি চিকেন, দেশি-বিদেশি রকমারি পদ দেখলেই জিভে জল আসে? কিন্তু মন খুলে খেতে গেলেই ওজন বৃদ্ধির ভয়! তা হলে কি জীবন থেকে বাদ পড়ে যাবে পছন্দের নানা পদ? এতে শরীর ভাল থাকলেও, মন কিন্তু ভাল থাকবে না। তার চেয়ে বরং রন্ধন প্রণালী বদলে ফেলতে পারেন। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে স্বাদ-স্বাস্থ্য দুই-ই বজায় থাকবে।
ময়দার বদলে আটা
পরোটা খেতে ইচ্ছে হোক বা চিলি চিকেন, কিংবা চিলি হানি ফুলকপি! শুধু ময়দার বদলে ব্যবহার করতে হবে আটা। শরীর ভাল রাখতে ময়দা এড়িয়ে যেতেই পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তা ছাড়া ময়দায় থাকে প্রচুর ক্যালোরি। ফলে, ওজন কমাতে চাইলে ময়দা বাদ দেওয়াই ভাল। বদলে আটা খাওয়া যেতে পারে। এতে থাকে ফাইবার ও অন্যান্য জরুরি উপাদান। চিলি চিকেন হোক বা চিলি হানি পনির, মুরগির মাংস বা পনিরের উপর আস্তরণের জন্য ময়দা মাখিয়ে ভাজা হয়। এক্ষেত্রে ময়দার বদলে আটা ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি পরোটাও খাওয়া যেতে পারে তবে ঘিয়ে ভাজা। তেলে ভাজা নয়।
চিনি বর্জন করতে হবে
চিনিতে থাকে উচ্চ মাত্রায় শর্করা। তাই খাবার থেকে এই উপাদান বাদ দিতে হবে। চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলে বাড়তি কিছু পুষ্টি যুক্ত হতে পারে। চিনির বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। তবে কোনওটাই বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না।
এয়ার ফ্রাই
চিলি চিকেন হোক বা হানি চিলি পনির কিংবা মাঞ্চুরিয়ান, যে কোনও পদ রান্না করতে গেলে, মূল উপকরণটি ছাঁকা তেলে ভাজতে হয়। তবে ওজন বশে রাখে রকমারি খেতে হলে, ছাঁকা তেল নয়, এয়ার ফ্রায়ারে সেঁকে নিন। এতে মাংস ভিতর থেকে নরম রসালো থাকবে, অথচ বাইরে থেকে মুচমুচে হবে। তেল কম থাকায় ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ হবে।
সব্জি
পছন্দের রান্নাতে কিছুটা সব্জি যোগ করে দিলেও বাড়তি গুণ জুড়বে। যেমন চিকেন মাঞ্চুরিয়ান কিংবা গার্লিক চিকেন রান্নার সময়, ঝোল তৈরির ক্ষেত্রে পেঁয়াজের সঙ্গে শুধু ক্যাপসিকাম না দিয়ে ‘বেবি কর্ন’, বেলপেপার, গাজর যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদেও একটু বদল আসবে, স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।
খাবারের পরিমাপ
পছন্দের খাবার দেখলেই পেট পুরে খেয়ে ফেললে কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। কোনও খাবার ভাল লাগল মানেই সেটা অনেকটা খেয়ে ফেলতে হবে এমনটা নয়। যে কোনও খাবার খাওয়ার সময় পরিমাপের হিসাব না রাখলে শরীর-স্বাস্থ্য বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।