ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতেই এঁচোড় কাটা বেশ ঝক্কির। তাই বেশির ভাগ দিনই বাজার থেকে খোসা ছাড়িয়ে, ছোট টুকরো করে আনেন। কিন্তু সহকর্মীর বাড়ি থেকে আসা এঁচোড়টিকে তো আর বাজারে নিয়ে গিয়ে কাটিয়ে আনা যায় না! এ দিকে নেল আর্ট করানো নখে কালচে কষ লেগে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে। আবার এঁচোড় কেটে ফ্রিজে রেখে দিলেও অনেক সময়ে কালচে দাগ হয়ে যায়। তা হলে কী করবেন?
কী ভাবে এঁচোড় পরিষ্কার করবেন?
প্রথমে পরিষ্কার জলে খোসা-সহ এঁচোড় ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এঁচোড় কাটার আগে দু’হাতে ভাল করে তেল মাখয়ে নিন। বঁটি বা ছুরির গায়ে তেল মাখিয়ে নিতে পারলেও ভাল হয়।
তবে আগেই গোটা এঁচোড়ের খোসা ছাড়াতে যাবেন না। প্রথমে মাঝখান থেকে এঁচোড় কেটে দু’ভাগ করে নিতে হবে। তার পর ছোট ছোট টুকরো করে খোসা ছাড়াতে হবে।
এঁচোড় টাটকা হলে আঠা বা চটচটে রস বেরোনোর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ার কিছু নেই। শুকনো টিস্যু পেপার বা কিচেন টাওয়েল দিয়ে আঠা ভাল করে মুছে নিন।
তার পর একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে বেশ খানিকটা নুন দিন। তার মধ্যে এঁচোড়ের টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। অনেকে এই জলের মধ্যে হলুদও দেন। নুন, হলুদ মেশানো জলে ভিজিয়ে রাখলে এঁচোড়ের কষা ভাব অনেকটা কেটে যায়।
সেদ্ধ করার আগে নুন, হলুদের জল ফেলে দিয়ে আরও এক বার পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কেটে রাখা এঁচোড় কী ভাবে দীর্ঘ দিন ভাল রাখবেন?
সময়ের অভাব থাকলে কিংবা কাজের সুবিধার জন্য অনেকেই এঁচোড় কেটে, ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু রান্না করার সময়ে দেখা যায়, খোসা ছাড়ানো এঁচোড়ের গায়ে কেমন যেন কালচে দাগ ধরে গিয়েছে। সেই এঁচোড় রান্না করলে ঠিক ভাবে সেদ্ধ হতে চায় না। আবার, দেখতেও খারাপ লাগে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দীর্ঘ দিন এঁচোড় ভাল রাখতে হলে খোসা-সহ রাখাই ভাল। একান্ত যদি খোসা ছাড়িয়ে এঁচোড় কেটে রাখতে চান, তা হলে অনেকটা পরিমাণে সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখতে পারেন। এঁচোড়ের গা কালো হবে না।