প্রথম বার লাড্ডু বানাবেন, কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই আলোর উৎসব। বাঙালিদের কালীপুজো। অবাঙালিদের ‘দিওয়ালি’। যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ। উৎসব উদ্যাপনে অবাঙালিদের মিষ্টির তালিকায় লাড্ডু থাকেই। তবে এখন বাঙালিরাও রকমারি লাড্ডু পছন্দ করেন, উৎসবেও রাখেন।
দোকানে রকমারি লাড্ডু পাওয়া গেলেও, এই সময় অনেকেই বাড়িতে মিষ্টি বানান। কেউ রীতি মেনে, কেউ আবার শখে। আপনিও কি লাড্ডু বানাবেন ঠিক করেছেন? তা হলে জেনে নিন, লাড্ডু বানানোর সময়ে কোন ভুলে স্বাদ নষ্ট হতে পারে।
১. বেসন হোক বা বোঁদের লাড্ডু— উপকরণটি নাড়াচাড়ার সময় আঁচ বাড়িয়ে রাখা যাবে না। এতে বেসন পুড়ে যেতে পারে। বিশেষত আঁচ বাড়িয়ে ঘিয়ে বেসন ভাজতে গেলে, দ্রুত বাদামি হয়ে যাবে, কিন্তু কাঁচা থেকে যাবে। অনেকেই দ্রুত ভাজার জন্য শুরুতে আঁচ বাড়িয়ে রাখেন। এতেই সমস্যা হয় অনেক সময়ে।
২. বেশি আঁচে যেমন লাড্ডুর উপকরণ পুড়ে যেতে পারে, তেমনই সময় নিয়ে তা না ভাজলে কাঁচা থেকে যেতে পারে। লাড্ডুর স্বাদ দোকানের মতো করতে গেলে উপকরণগুলি কত ক্ষণ ধরে কতটা আঁচে নাড়াচাড়া করতে হবে, তা বোঝা দরকার।
৩. লাড্ডুর স্বাদ বৃদ্ধিতে কাজু, পেস্তা যোগ করবেন। সেটি কি কাঁচাই মিশিয়ে নিচ্ছেন? কাজু বা পেস্তা শুকনো কড়ায় বা ঘিতে সামান্য একটু নাড়াচাড়া করে নিলে স্বাদ আরও ভাল হবে। কাঁচা কাজুর স্বাদ লাড্ডুতে ভাল না-ও লাগতে পারে।
৪. অনেকেই বেসনের লাড্ডুতে চিনির গুঁড়ো ব্যবহার করেন। বদলে চিনি দিলেই লাড্ডুর স্বাদ ভাল হয়। অনেকে মনে করেন চিনি গুলতে সময় বেশি লাগবে। কিন্তু সেই সময়টুকু দিলে লাড্ডু খেতেও ভাল হবে। অনেকে চিনির রস ব্যবহার করেও লাড্ডু তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রে রস যেন খুব ঘন বা পাতলা না হয়, দেখা প্রয়োজন।
৫. স্বাদ এবং গন্ধ ভাল হবে বলে অতিরিক্ত ঘি দিচ্ছেন? লাড্ডুর পাক বেশি নরম হয়ে গেলে কিন্তু আকার দিতে অসুবিধা হবে। যতটা প্রয়োজন ততটাই ঘি দিতে হবে।