বাড়তি মিষ্টির রস কী ভাবে কাজে লাগাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
রসগোল্লাই আনুন কিংবা পান্তুয়া, মিষ্টির সঙ্গে থাকা চিনির রস কিন্তু বাড়তি হয়েই যায়। অনেক সময়েই তা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্ত, চাইলে সেই রস কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন পদ বানিয়ে নিতে পারেন।
মালপোয়া
মালপোয়া ভাজার পর চিনির রসে ডুবিয়ে রাখতে হয়। তাই মিষ্টির রস বাড়তি হলে বাড়িতেই মালপোয়া বানিয়ে নিতে পারেন। ময়দা, সুজি, দুধ, চিনি, স্বাদমতো নুন দিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করে তেলে মালপোয়া ভেজে নিতে হবে। তার পর তা চিনির রসে ডুবিয়ে রাখলেই হবে।
গুলগুলে বা গুলগুলা
এটি আটা দিয়ে তৈরি মিষ্টি একটি বড়া। একটি পাত্রে আটা নিয়ে তাতে স্বাদমতো নুন যোগ করতে হবে। দিতে পারেন নারেকল কুচি। এ বার জলের বদলে মিষ্টির সঙ্গে বাড়তি হওয়া চিনির রস দিয়ে সেটি গুলে নিন। মিশ্রণটি পাতলা বা খুব ঘন, কোনওটাই হবে না। এ বার কড়াইতে ডুবো তেলে বড়ার মতো ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গুলগুলে বা গুলগুলা। মিষ্টির পরিমাণ কমাতে চাইলে মিশ্রণটি তৈরির সময় অর্ধেক চিনির রস, অর্ধেক জল দিতে পারেন।
চাটনি
চাটনি হোক বা অম্বল, বেশ খানিকটা চিনি লাগে এতে। বেঁচে যাওয়া মিষ্টির রস দিয়ে খুব সহজেই চাটনি বা অম্বল বানিয়ে নেওয়া যায়। চাটনি তৈরিতে প্রচুর চিনি লাগে। যা বাড়তি খরচ। এ ভাবে চিনির রস কাজে লাগালে সাশ্রয়ও হবে।
মিষ্টি পোলাও
জাফরানি হোক বা বাসন্তী, মিষ্টি পোলাও তৈরি করতে গেলে চিনি দিতে হয়। চিনির বদলে কিন্তু চিনির রসও ব্যবহার করা যেতে পারে। চাল সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে একেবারে শেষ ধাপে পরিমাণ মতো মিষ্টির রস মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মিষ্টি পোলাও।
সুজির হালুয়া
সুজির হালুয়া তৈরি করার সময়ে চিনির বদলে মিষ্টির রস ব্যবহার করা যায়। এতে স্বাদে বিশেষ তফাত হয় না। শুকনো খোলায় সুজি হালকা ভেজে, তার সঙ্গে দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। সুজি সেদ্ধ হয়ে গেলে মিশিয়ে নিন মিষ্টির রস। তার পর নেড়চেড়ে কাজু, কিশমিশ যোগ করলেই তৈরি হয়ে যাবে সুজির হালুয়া।