মুসুর ডালের পাকন পিঠে। ছবি: সংগৃহীত।
পিঠে খাওয়া উৎসব হয় পৌষ মাসে। তবে শীতের মরসুম ছাড়াও ইচ্ছে হলে পিঠে খেতে পারবেন না, এমন কথা কোথাও লেখা নেই। তাই যে কোনও সময় বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন মুসুর ডালের পাকন পিঠে। পাকন পিঠে দেখতে সাদা সেদ্ধ পিঠের মতো নয়। বরং এতে ইচ্ছামতোই নকশা তোলা যায়। নরম, তুলতুলে পাকন পিঠে মুখে দিলে তা কোনও সুস্বাদু মিষ্টির চেয়ে কম মনে হবে না।
বাংলাদেশে এই ধরনের পিঠে তৈরির প্রচলন রয়েছে। যদিও মুগ ডাল দিয়েই এই পিঠে তৈরি হয়। তবে চাইলে মুসুর ডাল দিয়েও পিঠেটি বানিয়ে নেওয়া যায়। বাড়িতে অতিথি এলে কেনা মিষ্টির বদলে খাইয়ে দেখুন নিজে হাতে তৈরি পাকন পিঠে ।
উপকরণ
অর্ধেক কাপ মুসুর ডাল
এক কাপ দুধ
স্বাদমতো নুন
এক কাপ চালের গুঁড়ো
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ ময়দা
১ টেবিল চামচ ঘি
১ কাপ চিনি
স্বাদমতো নুন
২টি এলাচ
পিঠে ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল
প্রণালী
একটি কড়াইতে ধুয়ে নেওয়া মুসুর ডাল দিয়ে দেড় কাপ পরিমাণ জল দিয়ে ভাল করে সেদ্ধ হতে দিন। ডালের কাঁটা দিয়ে ঘেঁটে দিন, যাতে তা মোলায়েম হয়ে যায়। দিতে হবে স্বাদমতো নুন। এবার তাতে মেশাতে হবে ১ কাপ ফুটিয়ে রাখা দুধ। দুধ ও ডাল একটু ফুটে গেলে, আঁচ কমিয়ে দিয়ে দিন চালের গুঁড়ি ও ময়দা। সমস্ত উপাদান খুন্তি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হলে, কড়াই থেকে নামিয়ে ঘি দিয়ে ভাল করে হাত দিয়ে রুটির জন্য আটা মাখার মতো করে মেখে নিন। যত ভাল করে সেটি মাখবেন, ততই পিঠের স্বাদ ভাল হবে। বাড়িতে যদি মিষ্টি বা নারকেল ছাপা তৈরির ছাঁচ থাকে, সেই ছাঁচে ফেলে নকশা করে নিতে পারেন। যদি ছাঁচ না থাকে তা হলে রুটির মতো বেলে তার পর ছুরি, কাঁটাচামচের সাহায্যে ফুল, পাতা বা অন্য যে কোনও নকশা তোলা যায়। পিঠের দেখনদারি নির্ভর করবে হাতের গুণের উপর।
নকশা তোলার পর সেগুলি ডুবো তেলে ভাল করে ভেজে নিন। ভাজা পিঠে খাওয়া যেতে পারে। তবে তা তুলতুলে রসালো করতে হলে চিনির রসে ভেজাতে হবে। একটি পাত্রে চিনি ও জল ফুটিয়ে তাতে ২টি এলাচ দিয়ে চিনির সিরা বা রস করে নিন। সেই রসে দিয়ে ভাজা পিঠে মিনিট দুই ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রসে টইটম্বুর নরম পাকন পিঠে।