(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলা কিংবা জাতীয় সংসদের ভোটের আয়োজন নয়, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার এখন শেখ হাসিনার জমানার বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত! এ কথা জানালেন, ইউনূসের প্রেস সচিব মহম্মদ শফিকুল আলম।
শফিকুল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘স্বৈরাচার জননী শেখ হাসিনা দেশে একটি চোরতন্ত্র চালু করেছিলেন। তার জমানার দুর্নীতির তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’’ তিনি জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আটটি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে ‘দুদক’।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন ইতিমধ্যেই ইউনূস সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। দাবি না মানা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তৃতায় ইউনূস জানিয়েছিলেন, সব শর্ত পূরণ করলে ২০২৫-এর শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে ‘নির্বাচন করা যেতে পারে’। পরের দিন ইউনূসের প্রেস সচিব আবার ব্যাখ্যা দেন, ২০২৬-এর জুনের পরে নির্বাচন হতে পারে। খালেদার পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর পরেই অভিযোগ করেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।