বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি উদ্যোগে বইমেলা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উঠে এল আরজি কর প্রসঙ্গ। আর সেই নিয়ে হুগলির চন্দননগরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চন্দননগরে চলছে ‘হুগলি জেলা গ্রন্থ মেলা’। চন্দননগর পুরনিগমের সামনে মেরি পার্ক মাঠে ওই বইমেলা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সেখানে কবিতা পাঠের আসরে উঠে আসে আরজি কর প্রসঙ্গ। আরজি কর নিয়ে একটি কবিতা পাঠের সময় লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই শুরু হয়েছে চাপানউতর।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া দেবলীনা খান নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের চারটি কবিতা পাঠের কথা ছিল। দুটি কবিতা পাঠ করা হয়। একটি কবিতার অর্ধেক পাঠের সময় বাধা আসে। সেই সময় হঠাৎ করে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, ওই কবিতায় আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গ ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কবিতা পাঠের সময়ে মঞ্চের সামনে থেকেই বারণ করা হচ্ছিল। বাধা আসছিল। তার পর হঠাৎই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা অনুষ্ঠান শেষ না করে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য হই।’’
বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর কর্পোরেশনের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মেয়র পারিষদ শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, সরকারি গ্রন্থমেলায় এই রকমের অনুষ্ঠান না করাই উচিত। যদিও লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার কথা তিনি মানেননি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এ রকম অনুষ্ঠান করা উচিত নয়, সেটাই জানানো হয়েছে ওই সাংস্কৃতিক সংগঠনকে। মাইক বন্ধ করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। গোটা অনুষ্ঠানটাই তাঁরা শেষ করেছিলেন। আমরা চন্দননগরের সব সংগঠনকেই অনুষ্ঠান করার সুযোগ দিয়েছি।’’