‘মেলা’ সিনেমার কথা মনে পড়ে? ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে আমির খান ও টুইঙ্কল খন্না মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছিলেন আমির খানের ভাই ফয়জল খানও। তবে, বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিলেন খলনায়ক তিনু বর্মা।
‘মেলা’ ছবিতে খলনায়ক ‘গুজ্জর সিংহ’-এর চরিত্রে তিনুর অভিনয় প্রশংসাযোগ্য। এর পর ‘আঁখে’, ‘হিম্মত’, ‘মা তুঝে সলম’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
শুধু হিন্দি ছবি নয়, ভোজপুরি ছবি ‘লয়লা মজনু’-তেও অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনেতার পাশাপাশি তিনু বর্মা বলিউডে স্টান্ট ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম।
কিন্তু, পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালীন তিনুর সঙ্গে বচসা বাধে সইফ আলি খানের।
এক সাক্ষাৎকারে তিনু জানান, অভিনেতা অজয় দেবগণ ও সইফ আলি খান ‘কাচ্চে ধাগে’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন তিনি। তিনু শ্যুটিং সেটে ট্রেনের একটি দৃশ্য পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু ‘অ্যাকশন’ বলা সত্ত্বেও সইফ কিছুতেই তাঁর সংলাপ বলছিলেন না।
বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় তিনু সইফের কাছে এর কারণ জানতে চান। সইফ জানান, তিনি ট্রেনের দুলুনি উপভোগ করছিলেন। তাই তিনি আর সংলাপ বলছিলেন।
এত গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য শ্যুট করার সময় সইফ এমন অপেশাদারের মতো আচরণ করবেন, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি তিনু। রাগের বশে, সেটের সকলের সামনে সইফের গালে চড় মারেন তিনি।
অজয় যখন তিনুকে থামাতে যান, তখন তিনি অজয়কে এই বিষয়ে কথা বলতে বারণ করেন। সেটে এই ঘটনার পর সইফ-পত্নী অমৃতা সইফকে নিয়ে তিনুর সঙ্গে দেখা করতে যান এবং সইফকে ক্ষমা চাইতে বলেন।
তখন তিনি সইফকে বলেন, ‘‘জীবনে যদি বড় হতে চাও, তা হলে কলাকুশলীদের শ্রদ্ধা করো। তাঁরাই অভিনেতাদের সামনে তুলে ধরেন। যদি ওঁদের শ্রদ্ধা করতে না পারো, তবে আর কাজ কোরো না। ছবি ছেড়ে দাও। নবাবের ছেলে তুমি। তোমার বাবা তোমায় অনেক কিছুই দিয়েছেন। অসম্মান কোরো না।’’
তিনু আরও বলেন, ‘‘এত বড় সেটে তোমাকে চড় মারলাম, তা তোমার ভাল লাগল কি? এটা আমার গুরু-দক্ষিণা ছিল। তুমি ভুলে গিয়েছিলে, ‘পরম্পরা’ ছবির জন্য কাজ শিখতে তুমি আমার কাছেই এসেছিলে।’’
তবে, শুধু নবাবপুত্রকেই নয়, বলিউডের আর এক অভিনেতা কপিল শর্মাকেও চড় মেরেছিলেন তিনু। এ কথা জানান কপিল নিজেই।
‘কপিল শর্মা’ অনুষ্ঠানের একটি পর্বে কপিল জানান, ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিতে তিনি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনু তাঁকে সকলের সামনে চড় মেরে সেট থেকে বের করে দেন।
কপিল জানান, ২৫ হাজার জুনিয়র আর্টিস্টদের মধ্যে নাকি তিনিই এক মাত্র ছিলেন, যিনি নির্দেশ মেনে অভিনয় করছিলেন না। কপিলের জন্য পর পর দুটো শট নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনু।
তাই সকলের সামনে কপিলের গালে চড় মেরেছিলেন তিনু। তার পর অভিনেতাকে শ্যুটিংয়ের সেট থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন স্টান্ট ডিরেক্টর তিনু বর্মা।