দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে আসবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। শুক্রবার এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। কিন্তু তিনি নিজের অপারগতার কথা জানিয়েছেন আগেই।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসাবে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে আমন্ত্রণ জানান বাইডেনকে।
বাইডেনের তরফে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছিল, জানুয়ারি মাসে তিনি দিল্লিতে আসতে পারবেন না। তার পরেই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাইডেন না আসায় জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে কোয়াড (‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ’) বৈঠকও বাতিল হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
কেবল বাইডেন নয়, চতুর্দেশীয় অক্ষের (কোয়াড) বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে সে সময় কেন্দ্রের একটি সূত্রে ‘খবর’ মিলেছিল।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় কোয়াড-এর চার সদস্যরাষ্ট্রের (ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান) সমন্বয় আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে চার রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছিল। তবে সে সব এখন অতীত। সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্বন্ধে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো দিল্লিতে এ বারেও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে। দেশ জুড়ে পালিত হবে ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। সেখানেই হাজির থাকবেন মাকরঁ।
গত জুলাই মাসে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস অর্থাৎ বাস্তিল দিবসের উদ্যাপনে অতিথি হিসাবে ছিলেন তিনি। একই ভাবে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসেও দেখা যাবে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।
সেপ্টেম্বর মাসেই দিল্লি থেকে ঘুরে গিয়েছেন মাকরঁ। জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়েছিল।
মোদী জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনের সময় গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী আলোচনা হয়েছে তাঁর। ফ্রান্স এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করার বিষয়ে সে বৈঠকে কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে বিদেশি কোনও না কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানায় ভারত সরকার। ব্যতিক্রম হয়েছিল কেবল দুই বছর।
২০২১ এবং ২০২২ সালে বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারির প্রভাবে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। ওই দুই বছর ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে ডাকা হয়নি।
চলতি বছরের শুরুতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ্ এল-সিসি।