শুধু ভারতের নয়, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ধনীদের তলিকায় নাম রয়েছে ভারতের ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর। সম্পত্তির পরিমাণে বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরদের ছাপিয়ে গিয়েছেন অম্বানী।
মুকেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ন’হাজার ৭০ কোটি ডলার। ভারতের ধনকুবেরদের বিষয়ে জানলেও প্রতিবেশী পাকিস্তানের ধনকুবেরদের ব্যাপারে জানেন না অনেকেই। যদিও সম্পত্তির নিরিখে ভারতীয় শিল্পপতিরা পাকিস্তানের শিল্পপতিদের বলে বলে গোল দেবেন।
পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম শাহিদ খান। শাহিদ এক জন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকার ব্যবসায়ী।
শাহিদের মালিকাধীন ‘জ্যাকসনভিল জাগুয়ার’ ফুটবল দলের বর্তমান বাজারমূল্য ৬,২৯৬ কোটি টাকা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘ফুলহ্যাম এফসি’ নামে একটি ফুটবল দল রয়েছে শাহিদের। ২,৪৫৩ কোটি টাকা দিয়ে এই দলটি কিনেছিলেন তিনি।
‘ফ্লেক্স-এন-গেট’ নামে একটি সংস্থা রয়েছে শাহিদের। বর্তমানে পাকাপাকি ভাবে আমেরিকাতেই বসবাস করেন তিনি।
শাহিদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় এক হাজার ১৪০ কোটি ডলার। তাঁর আয়ের প্রধান উৎস গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি। বর্তমানে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ২৯১ নম্বরে নাম রয়েছে শাহিদের।
তবে কম যান না শাহিদ খানের ছেলে টনি খানও। বাবার সম্পত্তিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি।
টনির আসল নাম অ্যান্টনি রফিক খান। বর্তমানে শাহিদের সিংহভাগ ব্যবসার দায়িত্বভার টনিই সামলাচ্ছেন।
শাহিদ খানের মূল ব্যবসা তাঁর সংস্থা ফ্লেক্স-এন-গেটের মাধ্যমে ধাতব উপাদান তৈরি এবং সরবরাহ করা। তবে টনি বেশি মেতে থাকেন বাবার ফুটবল ক্লাব নিয়েই।
টনির জন্ম আমেরিকার ইলিনয়ে। সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন। যদিও বাবার মতো তাঁর শিকড়ও পাকিস্তানে।
বাবার ‘জ্যাকসনভিল জাগুয়ার’ এবং ‘ফুলহ্যাম এফসি’ ছাড়াও ‘অল এলিট রেসলিং’-এর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন টোনি। এ ছাড়াও, ‘ট্রুমিডিয়া নেটওয়ার্ক’, ‘অ্যাক্টিভিস্ট আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট’ এবং ‘রিং অফ অনার’ নামে সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী টনি খানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। যদিও শাহিদ-পুত্রের সম্পত্তি অম্বানী-পুত্রদের ধারেকাছেও নেই।
অম্বানীর সন্তানদের থেকে সম্পত্তিতে এগিয়ে না থাকলেও সমাজমাধ্যম তাদের থেকে এগিয়ে রয়েছে টনি। ইনস্টাগ্রামে টনির ফলোয়ারদের সংখ্যা প্রায় দু’লক্ষ।
পাকিস্তান বর্তমানে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। সে দেশ সামলানোর দায়িত্বে রয়েছে অস্থায়ী তদারকি সরকার। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পাকিস্তানে এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তার মধ্যেই ভাল ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন শাহিদ এবং পুত্র টনি।