মোড়ক ভাল লাগলে বা গন্ধ সুন্দর হলেই কি ফেসওয়াশ কিনে নেওয়া যায়? ছবি: ফ্রিপিক।
ধুলো-ময়লা থেকে ত্বককে পরিষ্কার করতে ফেসওয়াশ মাখেন। কিন্তু ফেসওয়াশ কি দেখে কেনেন? তাতে কোন ধরনের উপকরণ রয়েছে তা কি কখনও খেয়াল করেন?
দোকানে যান বা অনলাইনে কিনুন—হাজার একটা ফেসওয়াশ রয়েছে। কেউ মোড়কে আকৃষ্ট হয়ে ফেসওয়াশ কেনেন। কেউ আবার নতুন কিছু মেখে দেখার কৌতূহলেও কোনও একটি পণ্য কিনে ফেলেন।
ফেসওয়াশ কেনার সময় কী দেখা দরকার?
১. উপকরণ
২. ত্বকের ধরন
৩. কোন উপাদান এড়িয়ে চলা প্রয়োজন
বাজারে জেল, ফোম, ক্রিম, ক্লে-সহ বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ মেলে। বেঞ্জোল পেরোক্সাইড, সালিসিলিক অ্যাসিড, হাইলুরোনিক অ্যাসিড, সেরামাইডস, টি-ট্রি অয়েল, নিয়াসিনামাইড-সহ বিভিন্ন উপাদান এবং উকরণের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। ত্বক অনুযায়ী তার উপকারিতা।
কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট মিক্কি সিং জানালেন কোন ধরনের ফেসওয়াশ কোন ত্বকের জন্য ভাল।
তৈলাক্ত ত্বক: ত্বকে তেলতেলে হলে সেই ত্বককে এই পর্যায়ে ফেলা যায়। এই ধরনের ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত হয়। যে সমস্ত ফেসওয়াশে ফেনা হয়, সেগুলি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল। টি-ট্রি অয়েল বা সালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক: ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারালে শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই ধরনের ত্বকের প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজ়েশন। সে ক্ষেত্রে মৃদু ক্রিমজাতীয় ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া যেতে পারে। হাইলুরোনিক অ্যাসিড কিংবা গ্লিসারিন রয়েছে, এমন ফেসওয়াশ এমন ত্বকের জন্য ভাল।
স্পর্শকাতর ত্বক: এই ধরনের ত্বকে চট করে যে কোনও প্রসাধনী সহ্য হয় না। অ্যালো ভেরা, ক্যামোমাইল রয়েছে, এমন মৃদু গন্ধহীন ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন।
সাধারণ ত্বক: না শুষ্ক না তৈলাক্ত, এমন ত্বক হল সাধারণ ত্বক। এই ধরনের ত্বকের জন্য যে কোনও মৃদু ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া যায়। ভিটামিন সি, হাইলুরোনিক অ্যাসিড, অ্যালো ভেরা রয়েছে এমন যে কোনও ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রণযুক্ত ত্বক: অনেকের মুখভর্তি ব্রণ থাকে। এই ধরনের ত্বকের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেঞ্জোল পারক্সাইড রয়েছে এমন ফেসওয়াশ কার্যকর হতে পারে। টি-ট্রি অয়েল যুক্ত ফেসওয়াশও মাখা যেতে পারে।
কোনগুলি এড়িয়ে চলা দরকার?
ফেসওয়াশে অ্যালকোহল, প্যারাবেন থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া ভাল।