চুলের জন্য কী ভাবে ব্যবহার করবেন গ্রিন টি? ছবি: ফ্রিপিক।
ওজন ঝরাতে, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে গ্রিন টি খুব উপকারী। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই এখন প্রতি দিনের ডায়েটে গ্রিন টি রাখেন। এর উপকারিতাও বিস্তর। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, বিপাকহার উন্নত করা, এমনকি শরীর থেকে ‘টক্সিন’ দূর করা— এর অনেক গুণ। এই চায়ে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বক ভাল রাখতে হবে চুলের যত্নেও সহায়ক। গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, খনিজ চুল পড়া রুখতে, জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে।
কিন্তু কী ভাবে গ্রিন টি চুলে ব্যবহার করবেন? মাস্ক হিসাবে না তেল হিসাবে? না অন্য ভাবেও তা ব্যবহার করা যায়?
ব্যবহারবিধি
স্প্রে: ঈষদুষ্ণ জলে গ্রিন টি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন। তার পর ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নেওয়ার পর গ্রিন টি চুলে দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ বা মালিশ করুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টি ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে, স্নানের পর চুলে স্প্রে করে নিতে পারেন।
মাস্ক: গ্রিন টি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন চুলের মাস্ক। ৪-৫ টেবিল চামচ টক দইয়ের মধ্যে মিশিয়ে নিন ২ টেবিল চামচ গ্রিন-টি পাতা বা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে পরিষ্কার চুলে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা চুলে রেখে দিন। মাথা স্নানের সময় ব্যবহৃত টুপি বা ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন এই সময়ে। মনে রাখবেন, মাস্ক কিন্তু অপরিচ্ছন্ন মাথার ত্বকে ব্যবহার করা চলে না। তাই আগে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে, ভাল করে মুছে তার পর মাস্ক মাখতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের ৩০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।
তেল: চুলে নারকেল তেল মাখেন? যে তেলই মাখুন তাতে গ্রিন টি ঘণ্টা দুয়েক ডুবিয়ে রাখুন। এতে চা-পাতার নির্যাস মিশে যাবে। গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে তেল তৈরি করে কাচের শিশিতে তা সংরক্ষণও করতে পারেন।
সিরাম: চুলের সিরাম তৈরির জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। আর্গান অয়েলের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রায় থাকা গ্রিন টি মিশিয়ে নিন। যোগ করুন চুলের উপযোগী পছন্দের কোনও এসেনশিয়াল অয়েল। মিশ্রণটি পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে, ৩০ মিনিট রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা: গ্রিন টি চুলের জন্য ভাল হলেও অতিরিক্ত ব্যবহার ঠিক নয়। চুলের মাস্ক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া জরুরি। যদি গ্রিন টি ব্যবহারের পর মাথা চুলকায় বা অসুবিধা হয়, তা হলে তা বাদ দেওয়াই ভাল।