ভাঙা টাইল্স জোড়া দেওয়ার উপায় কী? ছবি: সংগৃহীত।
বিছানার পাশের টেবিলেই গ্লাসভর্তি জল রাখা থাকে। ঘুম চোখে সেখান থেকে গ্লাস নিতে গিয়ে অসাবধানে পড়ল সটান মাটিতে! গ্লাস তো ভেঙে গেলই সঙ্গে সাধের মেঝের টাইল্সও ফেটে চৌচির। দেখতে এমন খারাপ লাগছে যে, সঙ্গে সঙ্গে ভাঙা টাইল্স তুলে নতুন একটি না বসালেই নয়। আবার, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় টাইল্সের অন্যান্য অংশ ঠিক আছে। কিন্তু কোনাটুকু ভেঙে গিয়েছে। কিংবা চারকোনা টাইল্সের মাঝবরাবর শুধু বিদ্যুতের রেখার মতো একটা চিড় ধরেছে।
এমন অবস্থায় টাইল্স বদলে ফেলাই শ্রেয়। তবে সমস্যাও আছে। ভেবেছিলেন, শুধু ভাঙা টাইল্সটি তুলে হুবহু তেমনই দেখতে নতুন একটি বসিয়ে দেবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি! এত ঘন ঘন টাইল্সের আকার, নকশা, রং বদলে যায় যে, কিছুতেই পুরনোটির সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না। পুরো মেঝের টাইল্স তুলে নতুন করে বসাতে হবে। সে-ও খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। কম খরচে সমস্যার সমাধান করার অন্য উপায় কি আছে?
ভাঙা টাইল্স জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু লোকের চোখ এড়ানোর উপায় আছে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।
১) স্টিকার:
ছবি: সংগৃহীত।
বই, খাতায় যে সব স্টিকার সাঁটানো হয়, এ বস্তুটি তেমন নয়। পোশাকি ভাষায় একে ‘টাইল্স ডেকেল’ বলা হয়। অনলাইনে সে সব জিনিস পাওয়া যায় সহজেই। টাইল্সের কোনা ভেঙে উঠে যাওয়া অংশ খুব সন্তর্পণে বসিয়ে তার উপর সুন্দর নকশা করা কাগজ সেঁটে দিতে হয়। টাইল্সের মাঝখানে ফাটলের দাগও ঢেকে ফেলা যায় সহজেই।
২) টাইল ফিলার:
যদি টাইল্সের ফাটল খুব গভীর হয়, সে ক্ষেত্রে টাইল্স ফিলার কিনে ক্ষতের মাঝে ভরে দেওয়া যেতে পারে। কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে তা জমে শক্ত হয়ে যাবে, ফাটল গুরুতর আকার নেবে না। হাত যত নিপুণ হবে, এই সমস্ত ফিকির তত কম চোখে পড়বে। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ফিলারের রং যেন টাইল্সের রঙের সঙ্গে খাপ খায়।
৩) রঙের পোঁচ:
শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা সত্যি যে, টাইল্সও রং করা যায়। ভাঙা, ফাটল ধরা অংশগুলো প্রথমে ফিলার দিয়ে মেরামত করে নিন। তার উপর ব্রাশ দিয়ে গোটা টাইল্সটিকেই রং করে ফেলতে পারেন। আবার, নিপুণ হাতে শুধু ফাটলের উপর ওই একই রকম রঙের রেখা টেনে দিতে পারেন। চট করে দেখলে বোঝার উপায় থাকবে না।