হোয়াট্সঅ্যাপে থাকা সমস্ত বয়ান কিন্তু ২৪ ঘণ্টা, সাত দিন বা নব্বই দিনের মধ্যে মুছে ফেলা যায়। ছবি- সংগৃহীত
স্মার্ট ফোন আছে অথচ হোয়াট্সঅ্যাপ নেই? বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এ যেন ‘সোনার পাথরবাটি’। ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদান হোক বা অফিসের কাজ, বেশির ভাগ মানুষই এখন হোয়াট্সঅ্যাপের উপর নির্ভরশীল। সব জিনিসেরই যেমন সুবিধা আছে, তেমন কিছু অসুবিধাও আছে। যেহেতু পুরো বিষয়টিই অন্তর্জালের উপর নির্ভরশীল, তাই হোয়াট্সঅ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে মহিলাদের কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
১) কার সঙ্গে কথা বলবেন
অচেনা, অজানা কোনও ব্যক্তি হোয়াট্সঅ্যাপে অনৈতিক ভাবে মেসেজ, ফোন বা ভিডিয়ো কল করলে ব্যবহারকারীর হাতে ওই ব্যক্তিকে ব্লক করার বিকল্প আছে। তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাও যায়, যাতে ভবিষ্যতে ওই ব্যক্তি আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ না করতে পারে।
হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে ‘এন্ড-টু-এন্ড’ এনক্রিপশনের সুবিধা দেয়। ছবি- সংগৃহীত
২) মেসেজের গোপনীয়তা বাড়ল
হোয়াট্সঅ্যাপ ‘এন্ড-টু-এন্ড’ এনক্রিপশনের সুবিধা দেয়। এই বৈশিষ্ট্যটি এই মাধ্যমে পাঠানো যাবতীয় ছবি, মেসেজ, ভিডিয়ো, ভয়েস মেসেজ, ব্যক্তিগত তথ্য এবং হোয়াট্সঅ্যাপ কলে বলা বার্তার গোপনীয়তা বজায় রাখে। এ ছাড়া হোয়াট্সঅ্যাপে বলা সব বয়ান ২৪ ঘণ্টা, সাত দিন বা নব্বই দিনের মধ্যে মুছে ফেলা যায়। আবার কোনও ছবি বা তথ্য শুধুমাত্র এক বারই দেখা যাবে, তেমন বিকল্পও রয়েছে।
৩) ‘গ্রুপ’-এর গোপনীয়তা
হোয়াট্সঅ্যাপে একসঙ্গে অনেক জন কথা বলতে বা তথ্য বিনিময় করতে পারবেন, এমন সুবিধার জন্যই ‘গ্রুপ’ বা দলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কারও মতামত না নিয়েই যদি কোনও ব্যক্তি ওই দলে তাঁকে যুক্ত করেন, সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী স্বচ্ছন্দে ‘লিভ’ বা ‘এগজ়িট’-এর সাহায্যে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।
৪) অনলাইন তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আপনি কাকে জানাবেন বা জানাবেন না, তা ব্যবহারকারী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। হোয়াট্সঅ্যাপ প্রোফাইলের ছবি, স্টেটাস, অনলাইন আছেন কি না, এই সব যাবতীয় তথ্য গোপন রাখা সম্ভব।
৫) অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখা
অতিরিক্ত গোপনীয়তা বজায় রাখতে ‘টু-স্টেপ’ ভেরিফিকেশন বিকল্পটি দেওয়া হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখতে ৬ সংখ্যার একটি পিন দেওয়া হয়। যার সাহায্যে ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলেও ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার ভয় থাকে না।