ChatGPT

আমেরিকার মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষায় সফল হলেও ইউপিএসসি পাশ করতে ব্যর্থ চ্যাটজিপিটি

এআইএম চ্যাটবটকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রথম সেটের ১০০টি প্রশ্ন দেওয়া হয়। যার মধ্যে মাত্র ৫৪টি প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিতে পেরেছে চ্যাটবটটি। কেন পরীক্ষায় অসফল সে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ১০:১৭
Share:

বার বার নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে সফল হয়েছে এই রোবট। ছবি: শাটারস্টক।

কৃত্রিম মেধার দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইলন মাস্ক স্থাপিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’। কৃত্রিম মেধা দিয়ে তারা তৈরি করে ফেলেছে এক আশ্চর্য সফ্‌টঅয়্যার, নাম চ্যাটজিপিটি। চ্যাটজিপিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটও বলা যায়। কয়েক সেকেন্ডে হাজার হাজার শব্দ লিখে ফেলা কিংবা নিমেষে জটিল কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া— চ্যাটজিপিটির কাছে সবটাই যেন জলভাত। বার বার নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে সফল হয়েছে এই রোবট। তবে এ বার বিপাকে পড়ল এই রোবট। ওপেন এআই-এর জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপটি হোয়ার্টন মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেও, ভারতে সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের জন্য আয়োজিত ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় অসফল হয়েছে সে।

Advertisement

এর আগে আমেরিকার মেডিক্যাল কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বেশ ভাল নম্বর পেয়েই উত্তীর্ণ হয়েছিল এই রোবট। তবে ভারতে অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় সফল হতে ব্যর্থ সে। অ্যানালিটিক্স ইন্ডিয়া ম্যাগাজ়িন (এআইএম) দ্বারা পরিচলিত একটি গবেষণামূলক পরীক্ষায় চ্যাটজিপিটিকে ইউপিএসসির প্রশ্নপত্র শেষ করতে বলা হয় আর তাতেই ব্যর্থ হয়েছে এই রোবট।

এআইএম চ্যাটবটকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রথম সেটের ১০০টি প্রশ্ন দেওয়া হয়। যার মধ্যে মাত্র ৫৪টির ঠিকঠাক জবাব দিতে পেরেছে চ্যাটবটটি। তাঁর কাট-অফ নম্বর ছিল ৫৪। তাই ইউপিএসসির প্রিলিমস পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে সে। এই পরীক্ষায় চ্যাটবটটিকে ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সাধারণ বিজ্ঞান— এই সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। চ্যাটজিপিটির জ্ঞান ২০২১ সাল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, তাই সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয় উত্তর দিতে পারেনি চ্যাটবোটটি। তা ছাড়া অর্থনীতি ও ভূগোলের অনেক প্রশ্নের উত্তরও ভুল দিয়েছে সে।

Advertisement

শিক্ষকদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির জন্য পড়ুয়াদের জানার আগ্রহ বা শিক্ষা, দুই-ই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ছবি: শাটারস্টক।

শিক্ষাক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির বাড়বাড়ন্তে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃত্রিম মেধাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ‘ওপেনএআই’। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে সার্বিক ভাবে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মত অনেকের। শিক্ষকদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির জন্য পড়ুয়াদের জানার আগ্রহ বা শিক্ষা, দুই-ই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে এই প্রযুক্তি সাহায্য করলেও অভিনব ফল করার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে মানুষের মেধাই, মত বিশেষজ্ঞদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement