নষ্ট হয়ে যাওয়া কমলালেবুও এ ভাবে লাগতে পারে কাজে।
শীত চলে গিয়েছে। সঙ্গে কমলা লেবুর গন্ধও। তবু শেষ কয়েক দিনের কমলা-বিলাসের ইচ্ছেটা যায়নি। আবার তো অপেক্ষা করতে হবে বছরের শেষ পর্যন্ত। তাই মরসুম শেষের সেই ফল হাতছাড়া করা যায় না। কিন্তু এক-এক সময়ে সে লেবুর এমনই স্বাদ হয় যে, গেলাও যায় না।
তা হলে কী করেন সেই কমলা লেবু দিয়ে? বাড়িতে বসেই চটজল্দি বানিয়ে ফেলুন নতুন কিছু। যাতে লেবু যায় পেটে, আবার জিভেরও সুখ হয়। এমন ফল দিয়ে চাটনি কিংবা স্যালাড তো বানানো যায় বটেই। তবে অভিনব একটি মকটেলও বানিয়ে ফেলতে পারেন ঝটপট। গরম যত বাড়ছে, তরল খেতে ততই তো ভাল লাগছে।
কী কী লাগবে?
চারটি বড় কমলা লেবু বাড়িতে থাকলে এক বোতল (৫০০ মিলি লিটার) সাদা কোনও ঠান্ডা পানীয় কিনে নিন। পানীয় সোডা থাকলে, তা-ও ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে দু’টি পাতি লেবু থাকলেই যথেষ্ট। আপনার কমলা লেবুর গতি হবে একেবারে অচেনা ঢঙে। কয়েকটা পুদিনা পাতা, একটু বিটনুন, কাঁচা লঙ্কা কুচি সঙ্গে থাকলে আরও ভাল। আর লাগবে কয়েক টুকরো বরফ।
কী ভাবে বানাবেন ঘরোয়া মকটেল?
চারটি কমলা লেবু থেকে রস বার করে নিন। একটি পাত্রে আলাদা করে রাখুন। এ বার সেই পাত্রেই দু’টি পাতি লেবুর রস মেশান ভাল করে। সুন্দর দেখতে দু’টি গ্লাসে বেশ কয়েকটি বরফের টুকরো দিন। তার পরে দু’রকমের লেবুর রসের মিশ্রণটি গ্লাসে ঢেলে ফেলুন। অন্তত গ্লাসের তিন ভাগের এক ভাগ যেন ভরে যায় তা দিয়ে। তার উপর দিয়ে ঢালুন সাদা সোডা কিংবা কোনও সাদা রঙের ঠান্ডা পানীয়। অল্প বিটনুন আর কাঁচা লঙ্কার কুচি ছড়িয়ে দিন। একটু চামচ দিয়ে নেড়ে নিন সবটা।
পরিবেশনের আগে আপনার কমলা লেবুর মকটেল সাজিয়ে দিন উপরে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে। তাতে যেমন পানীয়টি দেখতে সুন্দর হবে, তেমন কমলা লেবুর সঙ্গে পুদিনার গন্ধ মিশে গিয়ে একটা নতুন ধরনের অভিজ্ঞতাও হবে!