প্রতীকী চিত্র
ভোট আসছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বেশি উত্তেজিত হবেন না। হলে কিন্তু বিপদ ঘটতে পারে। অসুস্থ তো হতেই পারেন। থাকে মৃত্যুর আশঙ্কাও।ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে শেখানো হয়, কোনও কিছুতে বেশি উত্তেজিত হতে নেই। কেন? তাতে কাজে ভুল হতে পারে। আচরণ নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু যা বলা হয় না, তা হল শারীরিক ক্ষতির কথা। ক’জনই বা জানেন যে, উত্তেজনা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। চিকিৎসকেরা এখন সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখার গুরুত্ব বোঝেন সকলে।
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হঠাৎ রেস্তঁরায় ঢুকতে দেখে উত্তেজনায় ২০১২ সালে মৃত্যু ঘটেছিল এক বৃদ্ধের। ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখতে দেখতে একই কারণে মৃত্যু ঘটার নিদর্শনও রয়েছে। সে সব খবর অনেক জায়গায় ছড়ালেও, অধিক উত্তেজনার সঙ্কট নিয়ে সচেতনতা যথেষ্ট তৈরি হয়নি।
অথচ অতিরিক্ত ভয়-মানসিক চাপের জেরে যেমন শরীরের ক্ষতি হতে পারে, ঠিক ততটাই সঙ্কট ডেকে আনে উত্তেজনা। কোনও কিছু দেখে হঠাৎ অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে পড়লে এক বারে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ ও হৃদ্কম্পন, মনে করাচ্ছেন হার্টের চিকিৎসক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। যা হার্ট এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমনকি, একেবারে শান্ত অবস্থা থেকে এক লাফে কোনও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে, তখনই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানান চিকিৎসক। তবে শুভ্রবাবুর বক্তব্য, ‘‘মৃত্যুর আশঙ্কা সকলের থাকে না। কারও হার্টের সমস্যা থাকলেই বেশি সঙ্কটজনক হতে পারে পরিস্থিতি।’’ তবে হার্ট কমজোর হোক বা না হোক, হঠাৎ উত্তেজনায় অসুস্থ হতে পারেন যে কেউই। উত্তেজনার জেরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার নিদর্শন রয়েছে বহু। আর তা ছাড়া, হার্টের সমস্যা থাকলেও যে সব সময়ে আগে থেকে জানা যায় না। ফলে সাবধান হওয়া খুবই জরুরি।