ঠান্ডা লেগেছে, বলার আগে দশ বার ভাবুন! প্রতীকী ছবি।
অফিস থেকে ছুটি লাগবে? গলা ভার করে বসকে একটা ফোন করে শারীরিক অসুস্থার ভান করে নিলেই কেল্লাফলে! আপনার কাঁপা কাঁপা গলা শুনে বসও ছুটি মঞ্জুর করে দিলেন! এমন টুকটাক অসত্য কথা জীবনে অনেকেই বলেছেন। তবে এ বার এমনটা করলে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল! আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনার অভিনয় ধরে ফেলা অত সহজ নয়, তবে এ বার আপনার মিথ্যা ধরে ফেলার যন্ত্র আসতে চলেছে বাজারে। এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই ধরে ফেলতে পারবে আদৌ আপনার শরীর খারাপ হয়েছে কি না।
এক জন অসুস্থ রোগীর গলার স্বর ঠিক কেমন হবে এবং এক জন সুস্থ মানুষের থেকে তাঁর স্বর কতটা আলাদা হবে, তা-ও নির্ধারণ করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। সম্প্রতি গবেষকরা ৬৩০ জনের স্বর পরীক্ষা করে দেখেছেন, যার মধ্যে ১১১ জন ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভুগছিলেন। গবেষণার পর ইলেকট্রিক্যাস ইঞ্জিনিয়ার পঙ্কজ ওয়ারুলে আবিষ্কার করেন, সংক্রমণের ফলে ভোকাল কর্ডগুলি ফুলে যায়। ফলে গলার স্বরেও বদল আসে। অসুস্থ মানুষের গলার স্বরকে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ভাগ করে, একটি অ্যালগরিদম কিছু নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিগুলি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, যা কেবলমাত্র সংক্রমিত ব্যক্তিদের গলার স্বরেই পাওয়া যায়। এই অ্যালগরিদম ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই যে ব্যক্তির ঠান্ডা লেগেছে, তাঁকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন ‘সর্দার বল্লভভাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-র গবেষকরা।
এ বার থেকে বসেরা এই এআই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে কর্মীর শারীরিক অসুস্থতা কথা যাচাই করতে পারবেন। গবেষকরা এই পদ্ধতির সাহয্যে ক্যানসার, পারকিনসন্স ডিজিজ় ও অবসাদের মতো রোগও নির্ণয় করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।