রণবীর-আলিয়ার বিয়ে নিয়ে নাজেহাল প্রতিবেশীরা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় পাঁচ বছরের প্রেম। তার পর বিয়ে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে একে অপরের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। সেই বছরই নভেম্বরে দম্পতির কোলে এসেছে সন্তান। এখন মেয়ে রাহাকে নিয়ে সংসার রণবীর ও আলিয়ার। যদিও কপূরের পরিবারের ছেলের সঙ্গে ভট্ট পরিবারের ছোট মেয়ের বিয়ের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের, এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরের সংবাদমাধ্যমের। বিয়ের আগে পাঁচ বছর একত্রবাস করেছেন তাঁরা। তাই চেয়েছিলেন বিয়েটা হোক নিজেদের বাড়িতে। হাতেগোনা আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে ঘরোয়া ভাবেই বিয়ে সারেন যুগল। কিন্তু দেশের দুই প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিয়ে বলে কথা। তাঁরা গোটাটা ঘরোয়া রাখতে চাইলেও সেটা শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে নাভিশ্বাস ওঠে নিরাপত্তাকর্মীদের। অতিষ্ঠ হয়ে যান প্রতিবেশীরাও। কী এমন হয়েছিল তাঁদের বিয়েতে?
ইউসুফ ইব্রাহিম। বলিউডের বেশির ভাগ তারকাদের বিয়েতে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে এই ব্যক্তির উপর। রণবীর-আলিয়ার বিয়েতেও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু বেলা যত বাড়তে থাকে, ভিড় বাড়তে থাকে সংবাদমাধ্যমের। রণবীর-আলিয়ার পালি হিলের বাড়ির সামনে প্রায় ৩৫০ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি থিক থিক করছিল। এর মাঝেই অতিথিদের গাড়ি আসছিল-যাচ্ছিল। তার মধ্যে প্রবেশ ও বেরোনোর রাস্তা একটাই ছিল, যার ফলে বাড়তি চাপ হয়। শুধু সংবাদমাধ্যমই নয়, তাঁদের অনুরাগীরাও সন্ধ্যা থেকে জড়ো হতে থাকেন বাড়ির সামনে। তার মধ্যে প্রায় ৬০ জন নিরাপত্তাকর্মীর দল। ফলত প্রতিবেশীদের কোথাও যাওয়া, বেড়ানো যেন দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। ইউসুফের কথায়, “এত লোকের ভিড় জমে যায়। একটা সময় সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের একাংশ বাড়ির পাঁচিল টপকাতে যান পর্যন্ত। প্রায় ৬০ জন নিরাপত্তারক্ষী সারা দিন কাজ করেও যেন সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান। পাড়া-প্রতিবেশীরাও বেশ বিরক্ত হন।’’