পিসির বাড়িতে পুড়ে মৃত্যু তিন বছরের শিশুর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়িতে কেউ ছিলেন না। একাই শুয়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছিল তিন বছরের শিশু। আচমকাই ঘরে আগুন লাগে। ঘুমের মধ্যেই পুড়ে মৃত্যু হল রিমি মণ্ডল নামে ওই শিশুটির। শিশুটির বাড়ি সাগরদিঘি থানার চালতাবাড়ি চপের মোড় এলাকায়। বছর দুই আগে রিমির মা আত্মহত্যা করেছিলেন। তার বাবা কাজে গেলে তাকে গোবর্ধন ডাঙায় পিসির বাড়িতে রেখে যেতেন। সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। আগুনে বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্রও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিমির মা প্রীতিলতা মণ্ডল বাপের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তার পর থেকে বাবা ভরত মণ্ডলের কাছেই থাকত শিশুটি। ভরত কাজে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মেয়েকে তাঁর দিদির বাড়িতে রেখে যেতেন। রিমির পিসি আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন। সেই জন্য তাঁর নিজের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। পাশেই একটি টিন এবং টালি দিয়ে তৈরি ঘরে থাকছিলেন তাঁরা।
বুধবার সন্ধ্যায় রিমি সেই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সে সময় তার পিসি চপের মোড় এলাকায় একটি এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। তখন বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘরটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। ঘর থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। তত ক্ষণে ঘরের আসবাবপত্র প্রায় পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু শিশুটি যে ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে, তা তাঁরা কেউ বুঝতেই পারেননি। ফলে ঘুমের মধ্যেই পুড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির পিসি ফিরে এসে তার কথা জানান। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে প্রবেশ করে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
রিমির বাবা ভরত বলেন, ‘‘দিদির কাছে রেখে কাজে গিয়েছিলাম। ফোনে খবর পাই, দিদির বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিদি ব্যাঙ্কে গিয়েছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় সেখানে মেয়ে পুড়ে মারা গিয়েছে।’’