খাবার দিতে গিয়ে কী দেখলেন কর্মী! ছবি-প্রতীকী
খাবার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দিতে অনেকেই বরাত দেন ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের। খাবার ডেলিভারি করতে এসে এ বার ‘অন্য রকম’ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন এক খাদ্য সরবরাহকর্মী। যিনি খাবারের বরাত দিয়েছিলেন, তাঁর নির্দেশে গোয়েন্দাগিরি করতে হল তাঁকে।
তাইল্যান্ডের ননথাবুরি অঞ্চলের এক খাদ্য-সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী ফেসবুকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক মহিলার জন্য খাবার সরবরাহ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যিনি খাবারের বরাত দিয়েছিলেন, তাঁর থেকে একটি মেসেজ বার্তা আসে তাঁর ফোনে। সেখানে বলা হয় যে, খাবার নিয়ে তিনি এসেছেন তা তিনি খেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তার বদলে একটি কাজ করতে হবে তাঁকে। কী সেই কাজ? যে বাড়িতে তাঁর খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা, সেই বাড়িটির সামনে একটি নির্দিষ্ট মডেলের কোনও গাড়ি আছে কি না, তা বলতে হবে তাঁকে।
আসলে যে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা, সেই বাড়ির বাসিন্দা এক রমণীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তাঁর প্রেমিক, এমনই সন্দেহ করতেন খাবারের বরাত দেওয়া মহিলা। সম্প্রতি তাঁর সন্দেহ হয়, তাঁর প্রেমিক ওই রমণীর বাড়িতেই রয়েছেন। যাচাই করতে সেই বাড়ির ঠিকানা দিয়ে খাবার বুক করেন তিনি। খাবার পৌঁছে দিতে যাওয়া ডেলিভারি কর্মীকে দিয়ে তিনি যাচাই করেন তাঁর প্রেমিকের গাড়ি সেই বাড়ির সামনে আছে কি না।
খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার ওই কর্মী জানিয়েছেন, মহিলার সন্দেহ একেবারেই ঠিক প্রমাণিত হয়। প্রেমিকের গাড়িটি সত্যিই দাঁড়িয়ে ছিল বাড়িটির সামনে। মহিলাকে সে কথা জানিয়েও দেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, নিজের ইচ্ছেয় এই কাজ তিনি করেননি। কাজ না করলে অর্ডার সম্পূর্ণ করছিলেন না মহিলা। তাই বরাত সম্পূর্ণ করতেই মহিলার নির্দেশ পালন করেছেন তিনি, দাবি তাঁর।