জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ। ছবি: প্রতীকী
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর। বিয়ের মাত্র তিন দিনের মাথায় জানতে পারলেন স্ত্রী। তা-ও অন্য কেউ নন, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর মায়েরই। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা। আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমেও নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগকারী মহিলার দাবি, বিয়ের আগে ৫ বছর ধরে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। ৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর চলতি বছরে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি, এমন অভিজ্ঞতা হবে। মহিলার দাবি, কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হয় তাঁকে। সেই সময়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা হয়। এক প্রতিবেশী বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে খবর দেন। তার পরই স্বামীর সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। গোটা বিষয়টিতে তিনি এত আঘাত পেয়েছেন যে, মানসিক ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে তাঁকে, দাবি তরুণীর।
ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুসারে, স্বামী কিংবা স্ত্রী ছাড়া আর কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ নয়। ছবি: প্রতীকী
প্রসঙ্গত, পরকীয়া নিয়ে কিছু দিন আগেই কড়া আইন এনেছে ইন্দোনেশিয়া। সেই আইন অনুযায়ী, বিয়ের বাইরে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। নিজের স্বামী কিংবা স্ত্রী ছাড়া আর কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ নয়। বিয়ের বাইরে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হলে যেতে হতে পারে জেলেও। আইন অনুসারে অভিযুক্তের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ। ফলে তরুণীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর মা ও স্বামীর কারাবাসও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।